কী ভাবে পাওয়া যাবে এই লুক! দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
১. আসলে সুস্থ, সুন্দর, নিদাগ ত্বকই হল গ্লাস স্কিন লুক পাওয়ার প্রথম এবং একমাত্র পথ। হাজার মেক-আপ করেও এমন ত্বক পাওয়া কষ্ট সাধ্য। তাই এমন মেক-আপ করার প্রথম ধাপে ত্বক প্রস্তুত করার কথাই ভাবতে হবে। তাই প্রথমেই পরিষ্কার ত্বকে হাইড্রেটিং মিস্ট, হায়ালুরনিক অ্যাসিড বা ফেসিয়াল অয়েল দিয়ে ময়েশ্চারাইজ করে নিতে হবে। কোমল ত্বকই একমাত্র চাবিকাঠি।
advertisement
২. এরপর মেক-আপের প্রথম ধাপ প্রাইমার। এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে একটি পোরলেস, গ্লো বুস্টিং প্রাইমার। যা মেক-আপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন - Diabetes Symptoms: ওর হয়েছে বলেই আমারও এটা ডায়াবেটিসের লক্ষণ, মোটেই গুলিয়ে ফেলবেন না
৩. গ্লাস স্কিন লুকের বিশেষত্বই হল ঝকঝকে চকচকে ভাব। তাই মেক-আপের একেবারে শুরু থেকেই সেই চকচকে ভাবটা আনতে হবে। তাই ২ থেকে ৩ ফোঁটা লিক্যুইড হাইলাইটার লাগিয়ে খুব ভাল ভাবে তা ত্বকে মিশিয়ে ফেলতে হবে।
৪. এরপর ফাউন্ডেশনের পালা। একেবারে নিখুঁত ত্বক পেতে ব্যবহার করতে হবে হাইড্রেটিং ফাউন্ডেশন, যা উজ্জ্বল করে তুলবে ত্বক। ভাল করে মিশিয়ে ফেলতে হবে ত্বকের সঙ্গে।
৫. এ ক্ষেত্রে ত্বকের কোনও অংশকেই হাইলাইট করা হবে না, যেমন চোখের নিচের অংশ বা নাকের পাশের অংশ। বরং গোটা মুখেই একটা সামঞ্জস্য রাখতে হবে। তাই একেবারে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে কনসিলার লাগাতে হবে। লাগাতে হবে খুব সামান্য, আর মিশিয়ে নিতে হবে খুব ভাল করে।
৬. সামান্য ব্রোঞ্জারও প্রয়োজন হবে। তবে তা যেন স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই হয়।
৭. এই গোটা মেক-আপ পদ্ধতিতে যে বিষয়টি একেবারেই ব্যবহার করা চলবে না, তা হল পাউডার বা এমন যে কোনও মেক-আপ যা গোটা লুকটিকে ম্যাট করে ফেলবে। তাই ব্লাশ ব্যবহারের সময়ও বেছে নিতে হবে লিক্যুইড ব্লাশ। একেবারে তাজা ফুলের মতো চেহারা পেতে হলে দু’ফোঁটা লিক্যুইড ব্লাশ চিক বোনের উঁচু অংশ থেকে মুখের উপর দিকে টেনে ব্লেন্ড করে দিতে হবে।
৮. গ্লাস স্কিন ত্বকের মূল রহস্য স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক। আর সেই চেহারা আনতে গেলে খানিকটা হাইলাইটার তো প্রয়োজন হবেই। মেক-আপের একেবারে শেষ পর্যায়ে এই হাইলাইটার প্রয়োগ করতে হবে। খুব সামান্য পরিমাণ ট্রান্সলুসেন্ট হাইলাইটার বা লিক্যুইড হাইলাইটারের কয়েক ফোঁটা লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে চিক বোনের একেবারে উপরে বা মুখের উঁচু হয়ে থাকা অংশগুলির একেবারে উপরে। এতে রেডিয়্যান্ট লুক বজায় থাকবে।
৯. ঠোঁটের ক্ষেত্রেও বজায় রাখতে হবে এই ভেজা ভেজা ভাবটা। গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটই একান্ত কাম্য। তাই সামান্য ওষ্ঠরঞ্জনীর ছোঁয়া দিয়ে নিতে হবে ঠোঁটে। সরাসরি লিপস্টিক বা ব্রাশ ব্যবহার না করে বরং হাতের অনামিকা দিয়ে লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে তা। উপরে লিপ গ্লস লাগাতে ভুলে গেলে গোটাটাই ভুল হয়ে যাবে।
১০. সব শেষে লাগিয়ে নিতে হবে মেক-আপ ফিক্সার স্প্রে। না শুধু মাত্র দীর্ঘস্থায়ী মেক-আপ পাওয়ার জন্যই নয়, এই স্প্রে আসলে গোটা মেক-আপটিকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করার এক এবং একমাত্র উপায়। যে হেতু এই বিশেষ মেক-আপ পদ্ধতিতে কোনও ভাবেই কোনও পাউডার ব্যবহার করা হয়নি, ফলে মেক-আপ ফিক্স করার দিকটি অবহেলিতই থেকে গিয়েছে। কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বল, স্নিগ্ধ জলধোয়া কেতকীর মতো রূপটি পেতে হলে মেক-আপ ফিক্সিং স্প্রে একান্ত প্রয়োজন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)