নেটিজেনরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লাল্টু দত্তকে, থুড়ি শিবপ্রসাদকে ৷ ২০১৪ সালের ৬ জুন তাঁর এবং নন্দিতা রায়ের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘রামধনু’৷ ছবিতে তুলে ধরা হয়েছিল মধ্যবিত্ত বাঙালির চিরন্তন সমস্যা ৷ সন্তানকে নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তির সময় ইংরেজি বলতে না পারা এবং তার থেকে হীনমন্যতা ৷ বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল ‘রামধনু’৷ ছবির বার্তা ছুঁয়ে গিয়েছিল দর্শকদের ৷ গ্ল্যামার থেকে বহু দূরে মধ্যবিত্ত দম্পতির ভূমিকায় শিবপ্রসাদ ও গার্গীর অভিনয় এই ছবির অন্যতম সম্পদ ৷
advertisement
‘রামধনু’-র ছায়ায় মালয়লম ভাষায় তৈরি হয় ‘সল্ট ম্যাঙ্গো ট্রি’৷ ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইরফান খানের ছবি ‘হিন্দি মিডিয়াম’-ও আদতে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার সৃষ্টিরই অনুসরণে তৈরি, সে অভিযোগও উঠেছিল ৷ ‘রামধনু’-র লাল্টু মিতালি জুটি এত জনপ্রিয় হয়েছিল, পরে ‘হামি’ ছবিতেও একই নাম ব্যবহার করা হয় শিবপ্রসাদ-গার্গীর ক্ষেত্রে ৷ শুধু পদবিটা পাল্টে ‘দত্ত’ থেকে ‘বিশ্বাস’ করে দেওয়া হয় ৷
লাল্টু ও মিতালি যে দর্শকহৃদয়ের কত কাছে, তা বোঝা যায় শিবপ্রসাদের পোস্টের নীচে মন্তব্য দেখলেই ৷ অনেকেই রামধনুর দ্বিতীয় ভাগ দেখতে চেয়েছেন ৷ বাদ পড়েনি নেটিজেনদের রসিকতাও ৷ কেউ বলেছেন, লাল্টু মিতালির ছেলে যখন এত বড় হয়ে গেল, তখন দাম্পত্যের বয়স মোটে ৭ কী করে হয়? দত্ত পদবিধারী কোনও সুরসিকা আবার জানিয়েছেন, তিনি স্বামীকে ‘লাল্টু দত্ত’ বলে ডাকেন ৷ কারণ পদবি ছাড়াও পর্দার চরিত্রের সঙ্গে স্বামীর আরও অনেক সাদৃশ্য আছে ৷
তবে বেশিরভাগ মন্তব্যেই দত্ত দম্পতিকে শুভ বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে৷ সঙ্গে সিনেপ্রেমী নেটিজেনদের আব্দার, বড় পর্দায় তাঁরা আরও অনেক বার ফিরে পেতে চান, লাল্টু ও মিতালি দত্তকে ৷