তিনি বলছেন, ‘এমন একটা স্পেস তৈরি করার দরকার আছে, যেটি মুভেবেল৷ আমরা হয়ত যে কোনও স্পেসে থিয়েটার করছি, কিন্তু সেখানে আলোর ব্যবহারের বিজ্ঞান থাকছে না৷ সেই বিজ্ঞানটা থাকতে হবে৷ এমন একটা স্পেস থাকবে, সেটি গাছতলায় হলেও আমরা সেটি তৈরি করে নিতে পারবো৷ সেখানে ৩০-৪০ জন বসলেও হবে৷ ঘরে, ছাদে, সর্বত্র এটা হতে পারে৷’ তা হলে কী যে কোনও স্পেসে, এমনকী অজানা কোনও স্থানেও নাটক হতে পারবে? তিনি বলছেন, ‘হ্যাঁ, সম্ভব৷ আমি সেখানে গিয়ে আমার তৈরি কাঠামোটা ফেলে দেব৷ আমি আমার কাজের ক্ষেত্রে আলোকে ভীষণ ভাবে প্রেফার করি৷ আমার কাজটা করতে গেলে ওই লাইটটা প্রয়োজন৷’
advertisement
কিন্তু তা হলে কী থিয়েটারের প্রসেনিয়ামের প্রয়োজন থাকছে না? তা হলে কী শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে বা কোনও চার রাস্তার মোড়ে এই থিয়েটার করা সম্ভব? ‘আমি চাই না শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে থিয়েটার করতে৷ আমি চাই একটা নিরিবিলি কোনও স্পেস, যেখানে শান্ত হয়ে দর্শক বসতে পারবেন, তেমন কোনও স্পেসে থিয়েটার করতে৷ আমি প্রসেনিয়ামের নিস্তব্ধতা চাইছি৷ আমি মাঠে ক্রিয়েট করেছি এই কাঠামো, একটা সাধারণ হলে৷’ কেন তা হলে এমন পদ্ধতিতে যেতে চাইছেন দেবব্রত৷ প্রসেনিয়ামের প্রয়োজন নেই তাঁর? দেবু বলছেন, ‘আমি চাইছিলাম না প্রসেনিয়ামের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে৷ আমি শুধুমাত্র আবার অন্তরঙ্গ থিয়েটারেও থাকব না৷ আমি থিয়েটার করতে চাই৷ তাই নিয়ে গবেষণাও করেছি৷ কিন্তু শুধু প্রসেনিয়ামে সেটা সম্ভব না৷ কিন্তু আমার প্রথম শর্ত হচ্ছে, আমার থিয়েটারটা দর্শকের কাছে পৌঁছতে হবে৷ সেখানে দেখাতে হবে মানুষকে৷ বহুদিন ধরে এটা নিয়ে লড়েছি৷’
তিনি বলছেন, আমার মূল চাহিদা ছিল, কী ভাবে এই থিয়েটারকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারব৷ কী ভাবে দর্শকদের সঙ্গে আত্মীকরণ করতে পারব৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই টুকরো-টুকরো ভাবনাগুলোকে জুড়ে এটা তৈরি হয়েছে৷ এটি স্লটেড অ্যাঙ্গেল তৈরি হয়েছে৷ আমার তৈরি পুরো সেটাপটা ৩৭ ফুট বাই ৩৭ ফুট, এর মধ্যেই দর্শক বসবে৷ আর পারফর্ম্যান্স এরিয়া হচ্ছে ১৭ ফুট বাই-১৬ ফুট৷ আমার স্পেসে বসার জায়গাটা এমন সিট তৈরি করব, যেটায় দর্শক ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরতে পারবেন৷ আমি লাইট হিসাবে লো-ভোল্ট লাইট ব্যবহার করছি৷ সেটাই ব্যবহার করেছি আমরা৷ তা হলেও অন্য বেশি ভোল্টের লাইটও ব্যবহার করা যাবে৷ কিন্তু আমরা অত্যন্ত কম খরচে আমরা পুরো ব্যবস্থা করে ফেলতে পারব৷’
আপাতত উৎসবে প্রস্তুতি নিয়েই মশগুল দেবব্রত৷ তবে তাঁর থিয়েটারের গবেষণার কাজও চলছে৷ তিনি চাইছেন নতুন একটি ধারার পথে এগিয়ে যেতে৷ এগিয়ে যেতে একটি নতুন পথে, যে খানে তিনি আলাদা করে থিয়েটারকে আরও কিছুটা বাঁধনমুক্ত করতে পারবেন৷