সারেগামাপা খ্য়াত শিল্পী। কেকে'র বড় ভক্ত। কেকে শেষ যেদিন নজরুলমঞ্চে গান করেন, সেদিন শিল্পীর ঠিক আগেই ছিল সতীশের পার্ফরম্যান্স। তারপরেই শুধু একবার দেখার অপেক্ষা... কেকে'র গানের আগেই গ্রিনরুমে দেখা হল প্রিয় মানুষটার সঙ্গে। সেদিন একটা গিটার কিনেছিলেন সতীশ কেকে'র অটোগ্রাফ নেবেন বলে। আর তাতেই অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাদ। আর অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরেই আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন কে কে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রখ্যাত শিল্পীর। আর রয়ে যায় তাঁর শেষ অটোগ্রাফটি ওই গিটারের গায়ে।
advertisement
আজ কেকে'র জন্মদিন। কেকে'র বড় ভক্ত সতীশের গলায় বিসাদের সুর। তিনি বলেন, "আমি কেকে স্যারের বড় ফ্যান। এর আগেও জি বাংলার মঞ্চে দেখা হয়েছে কেকে স্যারের সঙ্গে, সারেগামাপার ফাইনালে। তখন ওঁনার সঙ্গে কোরাস গেয়েছিলাম। এরপর যখন জানতে পারি এই শো তে কেকে স্যারের সঙ্গে আমায় গাইতে হবে... এটা আমার কাছে সেরা শো হয়ে দাঁড়ায়। কেকে স্যারের সঙ্গে পোস্টারে আমারও ছবি ছিল। ওই পোস্টারগুলো আমি অনেক শেয়ার করেছি। একটা ভীষণ বড় দিন ছিল সেদিন। আমি একটা গিটার কিনলাম সেদিন কেকে স্যারের সঙ্গে দেখা হবে বলে। আজ আমি দেখা করবই... আমার গিটারে ওঁনার অটোগ্রাফ নেবই। শো করার পর গ্রিনরুমে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম। কেকে স্যার এল। দেখা করে বললাম, এই মঞ্চে আপনার আগে আমার পারফরম্যান্স ছিল। উনি বললেন, আরে বাহ! কেমন ছিল গান? কেমন কাটল সন্ধ্যে? আমি বললাম আমি একটু টেনশনে ছিলাম, আপনি আমার পরে আছেন বলে।"
আরও পড়ুন: ফের ট্রোলড আলিয়া ! করিনার পথে হেঁটে তৈরি করলেন বয়কট 'ব্রহ্মাস্ত্র' ট্রেন্ড
সতীশকে গায়ক তাঁকে মনে রাখতে পেরেছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করায় তিনি জানান, "আমি বললাম আমি আপনাকে আগে সামনে থেকে দেখেছি। জিবাংলায় আপনার গানের সঙ্গে পিছনে কোরাসে গেয়েছি। উন তৎক্ষণাৎ আমায় চিনে নিলেন, বললেন, হ্যাঁ আপনি ওদিন নিচে গান করছিলেন, মনে পড়ছে।" তিনি আরও জানান, "উনি এতটাই ভদ্র মানুষ যে আমার মতো এত ছোট এক সঙ্গীতশিল্পী যে নীচে কোরাস গাইছেন, তাঁকেও নজরে রেখেছেন। কত বড় মনের মানুষ হতে পারেন উনি..."
আরও পড়ুন: কলকাতায় যাওয়ার আগের দিন ইতালি ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন কেকে: নকুল
কথোপকথনের পরেই সেই অটোগ্রাফ। যা অমূল্য। সতীশের গীটারে শেষবারের মতো পেনের টানে এঁকে দিলেন শুভেচ্ছাবার্তা। এরপর হোটেলে ফেরার পরেই সতীশ শুনলেন সবচেয়ে বেদনাময় সংবাদ। তিনি জানান, "আমার জীবনে এটিই সবচেয়ে সেরা দিন, আবার এটাই সবচেয়ে খারাপ দিন।" আপামর সঙ্গীতপ্রেমীর মতোই সেই রাতে ঘুমোতে পারেননি সতীশ।
আজ কেকে'র জন্মদিন। সারাদিন সব অনুষ্ঠান বাতিল করে শুধুই কেকে'র গান বেজেছে সতীশ গজমেরের রিহার্সাল রুমে।