বৃহস্পতিবার বেলায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ভাই শুভদীপ চট্টোপাধ্যায়। আগেই শোনা গিয়েছিল, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। নিউজ18 বাংলাকে শাশ্বতের স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা ছিল তো বটেই। কিছুদিন আগে পড়ে গিয়ে একটা পায়ে চোট পেয়েছিলেন। সেটা বড় কিছু না হলেও তারপর থেকেই ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। ধীরে ধীরে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়।’’
advertisement
গত শনিবার থেকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অঞ্জলিদেবী। গতকাল, বুধবার রাতে লড়াই থামে তাঁর। হাহাকার চট্টোপাধ্যায় পরিবারজুড়ে। শোকাচ্ছন্ন অভিনেতা নাকি আগামী বেশ কিছু কাজ আপাতত স্থগিত রেখেছেন।
শাশ্বত নিউজ18 বাংলাকে বলেন ‘‘বাবার পর মা-ও চলে গেলেন। জীবনে যে কত বড় শূন্যতার সৃষ্টি হল, এইসব ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’’
অঞ্জলিদেবীর প্রয়াণে গভীর শোকাহত তাঁর দুই ছেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, শুভদীপ চট্টোপাধ্যায়, পুত্রবধূ মহুয়া চট্টোপাধ্যায় এবং শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় এবং নাতনিরা। মহুয়া এবং শর্মিষ্ঠার মতো শুভেন্দু-জায়াও নিজেকে লাইমলাইট থেকে অনেকটাই দূরে রেখেছিলেন চিরকাল।
২০০৭-এর ৫ জুলাই বাংলা সিনেমার আঙিনায় স্থায়ী শূন্যস্থান তৈরি করে চলে গিয়েছিলেন টলিউডের অন্যতম সপুরুষ, দক্ষ অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। আজ তাঁর সঙ্গিনীও চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন তাঁরই মতো।