বিস্ময় প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, ” শেষ যে ছবিটা আমি দেখেছিলাম, সেটা হল ‘পুষ্পা ২। আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমি কখনওই ভাবিনি, আমি আমার সমসাময়িকদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি। কিন্তু আমার নতুন করে ভাল লেগেছে রশ্মিকাকে।” তবে ‘পুষ্পা ২’ অভিনেত্রীর প্রতি সঞ্জিদার এই ভাল লাগাটা শুরু হয়েছে সেই ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির সময় থেকেই। সঞ্জিদার কথায়, ” আগে আমি ওঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর দেখতাম। কিন্তু ওঁর কয়েকটি অভিনয় দেখে বিশেষ করে অ্যানিম্যাল ছবিতে, আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছে।”
advertisement
ওই ছবিতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে রশ্মিকার বাদানুবাদের দৃশ্যের উল্লেখ করে ‘হিরামান্ডি’ অভিনেত্রী বলেন, ” আমি ভেবেছিলাম, ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে দারুন সুন্দর লেগেছিল রশ্মিকাকে। আসলে ওই ছবিতে একটি দৃশ্যই আমার আইডিয়া বদলে দিয়েছে। দুর্দান্ত পারফর্মারের ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এরপর আমি ‘পুষ্পা ২’-এ ওঁকে দেখি, যা দেখে ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল।”
সঞ্জিদা আরও বলেন, ” ভাল পারফরম্যান্স দেখতে আমি ভালবাসি। ‘পুষ্পা ২’ হল অল্লু অর্জুনের ছবি। কিন্তু রশ্মিকার জন্য এই ছবি আলাদা ভূমিকা পালন করেছে যার জেরে নিজের ছাপও রাখতে পেরেছেন তিনি। নিজের দৃশ্যে অসাধারণ সাবলীল ভঙ্গিতে অভিনয় করে গিয়েছেন রশ্মিকা। সেই একটি দৃশ্য, যেখানে রশ্মিকা প্রত্যেককে জবাব দিয়ে বলছেন যে, ‘ইয়ে মেরা হাজব্যান্ড হ্যায়’, সেই দৃশ্যটি অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। আর সত্যি সত্যিই আমার উপর প্রভাব ফেলেছেন উনি।”
এদিকে আগামী বছর নিজের কেরিয়ারকে একটা উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কাজ করে চলেছেন সঞ্জিদা নিজেও। তবে ছোট ছোট চরিত্র করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” এটা নিয়ে আমার কোনও অসুবিধা নেই। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরিণত হই। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকটা সময় কাটানোর পর বোঝা যায়, বিষয়টা কীভাবে কাজ করে। আমি জানি, অভিনেত্রী হিসেবে আমায় কী করতে হবে আর কী করতে হবে না। আমি যখন টেলিভিশনে কাজ করতাম, তখন প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করতে চাইতাম। একবার আমি আমার উন্নতি দেখে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলাম। একবার যখন আপনি জেনে গিয়েছেন, যে কোনও অবস্থাতেই আপনার আলাদা করে নজর কাড়ার ক্ষমতা রয়েছে, তখন আপনার গোটা দৃষ্টিভঙ্গিটাই বদলে যাবে।”