প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছে সিধুর হত্যাকারীরাই কি সলমনকে হুমকি চিঠি দিয়েছে? সেই বিষয়েও সিদ্ধেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এর অন্যতম সদস্য এই সিদ্ধেশ হিরামান কাম্বলে। গত রবিবার বান্দ্রায় সলমন খানের বাড়ির পাশেই এক জায়গায় একটি চিঠি রেখে যায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। এক নিরাপত্তারক্ষী চিরকুট খুলতেই চোখে পড়ে এই হুমকি চিঠি। এই বিষয়েও কাম্বলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনাতেও বিষ্ণোইরাই জড়িত কি না সেই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হবে।
advertisement
হুমকি চিঠি পাওয়ার পরেই সেলিম খান বান্দ্রা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। সেলিম ও সলমন দুজনেরই বয়ান নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। এমনিতেই সলমন বিষ্ণোইদের নিশানায় রয়েছে। এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই তা প্রকাশ্যে বলেছে।
আরও পড়ুন- সলমনকে হত্যার পরিকল্পনা, ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে রাইফেল! চাঞ্চল্য়কর তথ্য প্রকাশ্যে
কিন্তু কেন সলমন তাদের নিশানায়?হাম সাত সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংএর সময় কৃষ্ণসার হরিণ হত্য়ায় অভিযুক্ত হন সলমন। সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই সলমনক হত্যা করার হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই। কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে খুবই পবিত্র মানে। অতীতে 'রেডি' ছবির সেটেও সলমনকে হত্য়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে সিধু মুস ওয়ালাকে। বেশ কয়েক মাস আগে থেকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা চলছিল।