যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নীর কথায়, তিনি সব সময় তাঁদের স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছেন ৷ তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎও তাঁকে বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে ৷ সামাজিক মাধ্যমে সায়নী লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূল কি ভাবে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার প্রতিরক্ষা কমিশনের সঙ্গে কাজ করে মানুষকে শিশুদের অধিকার সম্পর্ক আরো সচেতন করে তুলতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হলো।’’
advertisement
প্রসঙ্গত সম্প্রতি রাজ্যের জেলায় জেলায় যুব তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে পোস্ট করেছিলেন সায়নী ৷ বৃক্ষরোপণ, অন্নপূর্ণা কিচেন, কোভিডত্রাণ বিলি-সহ একাধিক কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন ফেসবুকে ৷ কিন্তু শিশু অধিকার নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও কাজের সম্ভাবনার ইঙ্গিত সামাজিক মাধ্যমে এই প্রথম এল তাঁর কাছ থেকে ৷ সায়নী যে ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে তাঁদের হাতে পকসো আইন সংক্রান্ত এবং বাল্যবিবাহরোধী পুস্তিকা দেখা গিয়েছে ৷
পরিচালক, উপদেষ্টা তথা লেখিকা অনন্যা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন মহিলা ও শিশু অধিকার নিয়ে ৷ নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন বয়সি মহিলা প্রতি বছর ভারতে পাচার হয়ে আসেন, সেই জ্বলন্ত সমস্যাও উঠে এসেছে তাঁর কাজে ৷
তথ্য বলছে, দরিদ্র পরিবারের এই মেয়েরা পাচার হয়ে যায় ভারতের বিভিন্ন শহর এবং মধ্যপ্রাচ্য-সহ অন্যান্য দেশে ৷ তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের ঠাঁই হয় নিষিদ্ধপল্লীতে ৷ কিছু সংখ্যক মেয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন বিভিন্ন জায়গায় ৷
তাঁর এবং সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে সায়নীর সাক্ষাৎ ঘিরে আশার আলো দেখছেন নেটিজেনরা ৷ কিছু বিরোধিতা থাকলেও অধিকাংশরাই সাধুবাদ জানিয়েছেন সায়নীকে ৷ নেটিজেনদের কথায়, এ বার সময় এসেছে এই সমস্যাকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার ৷ মন্তব্য তালিকায় অনেকেই নিজেদের এলাকার স্থানীয় অন্যান্য সমস্যার দিকেও যুব তৃণমূল সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ৷