অভিনেত্রী-রাজনীতিক ছোট থেকে হেনস্থার শিকার। নিজের বাবার লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। নিজের বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই তিনি সুরক্ষিত ছিলেন না। বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল খুশবুর জন্য।
আরও পড়ুন: রাতারাতি বদলে গেল বাংলার এক স্টেশনের নাম, অভিযোগের আঙুল ঋত্বিক-পাওলির দিকে!
মাত্র ৮ বছরের বালিকাকে তাঁর বাবার হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। দিনের পর দিন নিজের বাবার লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাউকে কিছু বলার সাহস পাননি। ১৫ বছর বয়সে প্রথম বার তিনি রুখে দাঁড়ান বাবার বিরুদ্ধে।
advertisement
সেই প্রসঙ্গে খুশবু বলেন, ‘‘১৫ বছর বয়সে যখন আমি বাবার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর ওই ঘটনা বন্ধ হয়। আজ আমার বয়স ৫২ বছর। আর এতগুলি বছর ধরে এই ঘটনার ক্ষত আমার মধ্যে রয়ে গিয়েছে। বিশ্বাস করুন, যে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাঁদের মনের ভিতর থেকে এই ঘটনা সহজে যায় না। এখন আমি অনেক হালকা। অনেক আরাম পাচ্ছি কথাগুলি বলে। আপনি জানতেও পারবেন যে ওই ঘটনা আমার ভিতরে বোঝা হয়ে রয়ে গিয়েছিল। আমি মনে করি এখনই আমাদের কথা বলা দরকার। যদি এখন না বলি তো আর কবে বলব? মৃত্যুশয্যায় নিয়ে যাব নাকি? আমি দেরি করেছি। কারণ সেই সময়ে আমার সাহস ছিল না, কারও সমর্থন ছিল না, আইন ছিল না, পকসো আইন ছিল না, কোনও জাতীয় মহিলা কমিশন ছিল না, আমার কাছে কোনও ধরনের সামাজিক সমর্থন ছিল না।’’
আরও পড়ুন: বাবার লালসার শিকার নায়িকা, খুশবুর জীবনের ভয়াবহ ঘটনায় শিউরে উঠতে হয়!
খুশবুর উপর নানা ধরনের দায়িত্ব ছিল, তাই তাঁকে চুপ থাকতে হয়েছিল। তাঁর একমাত্র ভয় ছিল, কাউকে কিছু বললে তার ফল ভোগ করতে হত তাঁর মা এবং তিন ভাইকে। খুশবুর কথায় জানা যায়, তাঁর বাবা নিজের স্ত্রীকে মারধর করতেন। অভিনেত্রীর ভয় ছিল, মারধরের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু যখন তিনি মুখ খোলেন, তার পরই পরিবারকে একা ফেলে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিনেত্রীর বাবা। তার পর বহু বছর খুশবুদের বাড়িতে প্রবল অর্থকষ্ট চলে। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা ছিল।
মাসখানেক আগে খুশবু সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘ছেলে হোক বা মেয়ে, একটি শিশুকে যখন অত্যাচার করা হয়, সেই ক্ষত সারা জীবন থেকে যায়। লোকটা (খুশবুর বাবা) হয়তো ভেবে নিয়েছিলেন যে মাকে মারধর করাটা তাঁর জন্মগত অধিকার, নিজের সন্তানদের মারধর করা, একমাত্র মেয়েকে যৌন হেনস্থা করাটাও যেন জন্মগত অধিকার তাঁর।’’