#মুম্বই: মুখ-চোখে আশ্চর্য কোমলতা। আবার দৃষ্টিতে অসম্ভব ধার। স্পষ্ট কথা বলতে জিভে আটকায় না। বলিউডের আম-নায়িকাদের মতো আওয়ার-গ্লাস বা জিরো, কোনও ফিগারের পেছনেই তিনি ছোটেন না। তবু ওটিটি থেকে সিনেমার পোস্টারে তিনি মধ্যমণি। এই প্যানডেমিকে তাঁর ছবি মুক্তি পেল বড়পর্দায়। সিনেমাহলে। শাকিলা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে রিচা চাড্ডার ব্যাপারেই!
advertisement
"শাকিলা রিলিজের আগে অনেক চিন্তাভাবনা হয়েছে। দক্ষিণের দর্শক ছবি দেখতে আসবেন, সেটাই প্রত্যাশিত ছিল। দর্শক এখনও বড়পর্দার আনন্দ ভুলতে পারেনি। এমনিতে শাকিলার কাহিনি যেকোনও সময়ের দর্শকের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এই সময়টা অন্যরকম। মহামারী ও উপর্যুপরি লকডাউনের জেরে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি তো জোর গলাতেই বলব, মাল্টিপ্লেক্সের মালিকদের এখন টিকিটের দামও কমানো উচিত যাতে সাধারণ দর্শকের সামর্থ্য হয় মাল্টিপ্লেক্সে ছবি দেখার। কিন্তু সেটা তো এখনও হয়নি," বলেছেন রিচা।
তাঁর অপূর্ব অভিনয়টাই ইউএসপি। পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে তাঁর সুন্দর একটা কম্বিনেশন সেই 'মাসান' ছবি থেকেই। "পঙ্কজজি তো তিনশো কোটি ক্লাবের সুপারস্টার! এমন একজন মানুষ, যাঁর সঙ্গে বসে গল্প করলেও অনেক কিছু শেখা যায়। এই ছবিটা শেষ ছবি নয় একসঙ্গে। আমি তো আশা করব যে, আমার সারা অভিনয় জীবনের বার বার যেসব মানুষের সঙ্গে অভিনয় করতে চাই তাদের মধ্যে পঙ্কজজি প্রথমে আছেন, তাই আরও বহু ছবিতে আমি ওঁর বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পাব আশা করি।" মন্তব্য করলেন রিচা।
লকডাউন না হলে হয়ত আলি ফজলের সঙ্গে বিয়েটাও হয়ে যেত! কিন্তু তা নিয়ে কোনও বক্তব্যই দিতে নারাজ রিচা। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। বলিউডে থাকতে থাকতে রুপোলি জগতের অন্ধকার দিকটি স্পষ্ট দেখতে পান এখন। চুপ করে থাকার পাত্রী নন তিনি। " বলিউড মানেই মানুষ ভাবেন ঝকঝকে রঙিন দুনিয়া। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত পার্শ্ব অভিনেতাদের কেউ দেখেন না। এ কে হাঙ্গল সাব শোলে ছবিতে এত প্রশংসা পেয়েছিলেন, তবু তাঁর কথা কেউ ভাবেননি কেন? চরম অর্থকষ্টে তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। কেন এমন হবে? আমার তো মনে হয় গোটা সিস্টেমটার বদল আসা দরকার! আসছেও। প্যানডেমিকে গ্লোবাল ট্রেন্ড বদলেছে। বদলে যাচ্ছে দেখার চোখও। সব বদলেরই ভাল দিক আছে। আমার বিশ্বাস, এখন বেশির ভাগ দর্শক ভাল দিকটাই দেখতে চাইছেন।
