রণবীর বলেন যে, প্রিয়াঙ্কা তুমি আমায় অবাক করে দিয়েছ, তোমার বিভিন্ন কাজ এবং বহু বর্ণের সাফল্য, তোমার বহুমুখী প্রতিভা এবং তুমি জীবনে যা যা করেছ, সবটাই কুর্নিশ করার মতো!
অনুষ্ঠানে অনেকের মতোই রণবীর জানতে চান যে প্রিয়াঙ্কার লেখা বইটির নাম আনফিনিশড কেন? প্রিয়াঙ্কা বলেন যে তাঁর জীবনের বহু অধ্যায়ের বিষয়ে তিনি এই বইতে কিছু লেখেননি। কারণ তিনি চান সেটুকু তাঁর কাছেই ব্যক্তিগত হয়ে থাক। কিছু পর্যায় বাদ গিয়েছে বলেই এই বইয়ের নাম তিনি অসমাপ্ত বা আনফিনিশড দিয়েছেন। রণবীরও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে একমত হন এই বিষয়ে। হয় তো এই ভাবেই শিল্পীদের জীবন অসমাপ্তই থাকে!
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কথোপকথনে অনেক পুরনো কথাই মনে গিয়েছে রুপোলি পর্দার খিলজির। প্রিয়াঙ্কা লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ট্যুর করে আসার পর প্রযোজক রীতেশ সিধওয়ানি (Ritesh Sidhwani) একটি পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন রণবীরও। আর সেখানেই নাকি চুটিয়ে কূটকচালি করেছেন তিনি। নিজেকে এই ব্যাপারে প্রধান জনানি বা মহিলা বলতেও আপত্তি নেই নায়কের। প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নানা খবর নিয়েছিলেন তিনি। জানতে চেয়েছিলেন, সেই পার্টি থেকে কতজন পুরুষের মন জয় করেছেন নায়িকা! রণবীরের ভাষায়. তিনি জানতে চেয়েছিলেন গসিপ আন্টির মতো- অউর বাতা কিতনি মিলি? এই বিষয়ে মাথা নেড়ে সায় দিয়ে হেসে কুটোপাটি হন নায়িকাও!
রণবীর সিংয়ের পাল্লায় পড়লে কারও নিস্তার নেই। ছাড় পাননি প্রিয়াঙ্কাও। রণবীর জানতে চান বইয়ের প্রচ্ছদে নায়িকা হাতে বই নিয়ে অমন গোমড়া মুখে দাঁড়িয়ে কেন? প্রিয়াঙ্কাও কী আর যে সে মেয়ে! তাঁরও বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর, তাঁকে যাতে লেখক-লেখক লাগে, সেই জন্যই এই ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়েছেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা এবং রণবীর, দু'জনের হাতেই এখন ভর্তি কাজ। প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গিয়েছে দ্য হোয়াইট টাইগার (The White Tiger) ছবিতে। চলছে টেক্সট ফর ইউ (Text For You)-এর শ্যুটিং। রণবীর ব্যস্ত আছেন সূর্যবংশী, (Sooryanvanshi), সার্কাস (Cirkus) ও ৮৩ (’83)-এর মতো ছবি নিয়ে।