রঞ্জনের জন্ম বর্ধমান জেলার মেমারিতে। বাবা ছিলেন দুঁদে গোয়েন্দা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়ে রঞ্জন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের প্ৰথম ব্যান্ড সপ্তর্ষিতে অন্যতম সদস্য ছিলেন রঞ্জন। ১৯৭৫ নাগাদ মহীনের ঘোড়াগুলি যখন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে, রঞ্জন উপস্থাপক হিসেবে যোগ দেন। মহীনের প্রথম অ্যালবাম 'সংবিগ্ন পাখিকুল'-এর 'ভেসে আসে কলকাতা', 'সংবিগ্ন পাখিকুল', 'মেরুন সন্ধ্যালোক'-এর মতো গানগুলি রঞ্জন ঘোষালেরই লেখা।
advertisement
পরবর্তী দশকগুলিতে মহীনের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে রঞ্জনের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। বেঙ্গালুরুতে ফার্স্ট রক কনসার্ট– 'রিমেম্বারিং মহীনের ঘোড়াগুলি' এবং কলকাতায় 'আবার বছর ত্রিশ পরে' শিরোনামে একটি কনসার্টের আয়োজন করেন তিনি।
বেঙ্গালুরুতে দীর্ঘদিন থিয়েটারও করেছেন রঞ্জন। স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষালের সঙ্গে যৌথ ভাবে গিরিশ কর্নাডের হয়বদন, অরুণ মুখোপাধ্যায়ের মারীচ দ্যা লেজেন্ড-এর মতো নাটক মঞ্চস্থ করেছেন।
বেপরোয়া জীবনযাপন, বর্ণময় চরিত্র রঞ্জনকে বিপুল জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। নীরবেই ঘুমের দেশে চললেন বাংলা গানের দিনবদলের অন্যতম সাক্ষী।