১৮ বছরের বিয়ে ভাঙার পর থেকেই আইনি প্রক্রিয়া চলছিল। সূত্রের খবর, রজনীকান্তের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছিলেন ধনুষ ও ঐশ্বর্য। তার পরেই হয়তো বিচ্ছেদ মামলা স্থগিত করার কথা ভাবা হয়েছে। যদিও ধনুষ বা ঐশ্বর্য কেউই নিজে মুখে পুনর্মিলন নিয়ে কিছু ঘোষণা করেননি এখনও। সূত্রের খবর, এখনই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিতে চান না ঐশ্বর্য রজনীকান্ত ও ধনুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: সত্যিই চিরবিদায়! প্রয়াত অমিতাভের 'গুডবাই' সহ-অভিনেতা অরুণ বালি
তাঁরা মনে করছেন, সম্পর্ক নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার এখনও জায়গা রয়েছে তাঁদের। ২০০৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। তাঁদের দুই পুত্র সন্তানও রয়েছে। নাম যাত্রা রাজা ও লিঙ্গ রাজা। সেই সময়ও মেয়ের সংসার যাতে না ভাঙে তার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন রজনীকান্ত। ধনুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এমনকী তাঁদের বিচ্ছেদ মেনে নেয়নি ধনুষের পরিবারও। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কাজের ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে ধনুষ ঠিকমতো সময় দিতে না পারার জন্য এই বিচ্ছেদ।
আরও পড়ুন: ২৫ দফা গাইডলাইন মেনে আজ জেলায় জেলায় পুজোর কার্নিভাল
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পর্কের ভাঙনের কথা জানান ধনুষ। একটি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, 'গত ১৮ বছর ধরে একসঙ্গে ছিলাম বন্ধু হিসেবে, দম্পতি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে এবং একে অপরের শুভাকাঙ্খী হিসেবে। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভাল। ঐশ্বর্য আর আমি আজ থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম দম্পতি হিসেবে আমরা আলাদা হয়ে যাব। আগামী দিনগুলোয় বরং একে অপরকে বোঝার জন্য আর একটু সময় দেব। সকলের কাছে অনুরোধ অনুগ্রহ করে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেবেন।'