তাঁরা জানাচ্ছেন যে লকডাউনের সময়, মুম্বইয়ের একটি অজানা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে এবং কলের অপর প্রান্তে একটা ব্যারিটোন ভয়েস ছিল যিনি তাঁদের কাজের খোঁজ রাখেন। তিনি ছিলেন গুলজার সাহেব। তাঁদের একসঙ্গে কিছু তৈরি করতে পারি কিনা এমন একটা খোলা আমন্ত্রণ জানিয়ে যখন ফোন রাখেন। এর পর আসে বেশ কিছু সঙ্গীত, কবিতা আদান প্রদানের পালা, একে অপরকে কিছুটা চিনে নেওয়ার প্রয়াস।
advertisement
ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা যা তিনি শতবর্ষ পরে কোনও এক কল্পলোকের কবিকে উদ্যেশ্য করে লিখে গিয়েছেন, যে একশো বছর পরে কে তাঁর কবিতা পড়ছেন। নিজের প্রাসঙ্গিকতা বুঝে নেওয়ার এ এক শৈল্পিক কৌশল মাত্র! সেই মোতাবেক গুলজার সাহেবেকে অনুরোধের ফসল স্বরূপ জন্ম নেয় একটা নতুন কবিতা। যা তিনি নিজেই পাঠ করেছেন ভিডিওটিতে। যেন শতবর্ষ পরে অন্য এক শতাব্দীর কবি গুরুদেবের সঙ্গে আলোচনা করছেন। উত্তর দিচ্ছেন তাঁর রেখে যাওয়া সব প্রশ্নের।
রবীন্দ্রনাথ নিজেও স্বকন্ঠে কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন। এর থেকে বোঝা যায় ওঁনার কাছেও কবিতাটার গুরত্ব কতটা ছিল! এই ভিডিওটিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথের কন্ঠের নমুনা ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক যেন দুই কবির হঠাৎ দেখা কবিতার পথ ধরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে এই ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে তাঁদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
অন্যদিকে গুলজার সাহেব বললেন, ” সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ দুজনই খুব ক্রিয়েটিভ। ওঁদের ইচ্ছা ছিল যদি গুরুদেবের ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে’, এই কবিতাটির একটা উত্তর আমি লিখি। কিন্তু আমার এত ক্ষমতা নেই যে গুরুদেবকে উত্তর দেব। তাও একটা লেখা লিখেছি যে আজও ওঁর কবিতা আমরা পড়ি, আজও তিনি ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক, তাই তো আজও ওঁনার গান, কবিতা আমরা চর্চা করি। হয়তো গুরুদেব এই হোম ওয়ার্কটা করতে দিয়েছিলেন আমায়!”রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে এ এক পরম প্রাপ্তি বলা যায়!