সরকারের তরফে এর আগে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই অনুযায়ী দিলীপ কুমারের পৈতৃক বাড়ির দাম ছিল ৮৬.৫ লক্ষ টাকা ও রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ির দাম ছিল ১.৫০ কোটি টাকা। কিন্তু মালিকদের দাবি আকাশছোঁওয়া। আর এখানেই নতুন সমস্যার সূত্রপাত!
অভিনেতা দিলীপ কুমারের প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো পৈতৃক বাড়ি অবস্থিত কিস্সা খোয়ানি বাজার (Qissa Khwani Bazar) এলাকায়। ২০১৪ সালে নওয়াজ সরিফের (Nawaz Sharif) সরকারের আমলে সেই বাড়িকে ন্যাশনাল হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরের দিকে, ২০০৫ সালে ৫১ লক্ষ টাকায় হাজি লাল মহম্মদ ( Haji Lal Muhammad) নামে এক ব্যক্তি বাড়িটি কিনে নেন। এর পর এই বাড়িটি নিয়ে সরকার পক্ষের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়।
advertisement
একই এলাকাতেই রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটেও রয়েছে। এই বাড়িটিকে কাপুর হাভেলি বলে ডাকা হয়। ১৯১৮-১৯২২ সালের মধ্যে এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন রাজ কাপুরের দাদু দেওয়ান বশেশ্বরনাথ কাপুর (Dewan Basheswarnath Kapoor)। এখানেই জন্মেছিলেন রাজ কাপুর ও তাঁর কাকু ত্রিলোক কাপুর (Trilok Kapoor)। পরের দিকে বাড়িটিকে ন্যাশনাল হেরিটেজ বলেও ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তবে এই ঐতিহ্যশালী বাড়ির ভবিষ্যৎ-ও নড়বড়ে।
এ নিয়ে কাপুর হাভেলির বর্তমান মালিক আলি কাদের (Ali Qadar) জানিয়েছেন, তিনি কখনও এই বাড়িটি ভাঙতে চাননি। এই ঐতিহাসিক বাড়ি সংরক্ষণের জন্য আর্কিওলজি বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তেমন কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও প্রশাসনের তরফে অন্য তথ্য উঠে এসেছে। পরে জানা যায়, বাড়িটির জন্য KP সরকারের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা দাবি করেছেন আলি কাদের। এই বিষয়ে আর্কিওলজি বিভাগের প্রধান ড. আবদুস সামাদ খান (Abdus Samad Khan) জানিয়েছেন, এর আগে বেশ কয়েকবার নানা কারণ দেখিয়ে ওই দু'টি বাড়ি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছিল মালিকপক্ষ। আসলে প্রাইম লোকেশনে কমার্সিয়াল বিল্ডিং গড়ার জন্যই বাড়িটি ভাঙতে চেয়েছিল তারা। তবে প্রতিবারই প্রশাসনের তরফে সেই কাজ সক্রিয় ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঋষি কাপুরের (Rishi Kapoor) অনুরোধে ২০১৮ সালে কাপুর হাভেলিকে মিউজিয়ামে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের সরকার। তবে সেই কাজে তেমন কোনও উন্নতি দেখা যায়নি।