নোটিসে বলা হয়েছে, দম্পতিকে একটি উপযুক্ত বাড়ি এবং একটি গাড়ি এবং এককালীন বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি)। তাঁদের সময় ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকাটা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়েছে, এই দম্পতিকে অভিজাত সমাজ, খ্যাতনামী, ক্রীড়াবিদ এবং রাজনৈতিক নেতাদের সামনে ‘প্রকৃত নায়ক’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, এসবের থেকে আখেরে লাভ হয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাতার। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বেড়াতে গিয়ে আচমকা মৃত্যু স্পন্দনার! বিবাহবার্ষিকীর আগেই জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয়ের পত্নীবিয়োগ
সংবাদসংস্থা বোম্মানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান, এই মামলা সংক্রান্ত মন্তব্য না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আরও তথ্যের জন্য তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন বোম্মান। আইনজীবী প্রবীণ রাজ জানিয়েছেন, নির্মাতা তাঁদের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি বেল্লির নাতনির শিক্ষায় সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এখন ছবির লাভ থেকে একটি ভগ্নাংশও দিতে রাজি নন। কার্তিকি গনসালভেস এখন বোম্মানের ফোন ধরছেন না।
তবে এর পর কার্তিকি একটি বিবৃতি জারি করেছেন, ”হস্তী সংরক্ষণের বিষয়টিকে মানুষের কাছে তুলে ধরা, বন দফতর এবং বোম্মান ও বেল্লির মতো মাহুতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই ছিল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর উদ্দেশ্য। ছবি মুক্তির পর অনেক সচেতনতা বেড়েছে। বহু মানুষ এই ছবি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ৯১ জন মাহুতকে হস্তী সংরক্ষণের জন্য এক লক্ষ টাকা করে অনুদানও দিয়েছেন। এমনকি আনামালাই টাইগার রিজার্ভে তাঁদের জন্য পরিবেশ-বান্ধব ঘর ও এলিফ্যান্ট ক্যাম্প তৈরির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।’’ একইসঙ্গে তিনি মাহুত দম্পতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেছেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যা।’