অন্যদিকে এক বাবা তিন মাসের ছোট্ট বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে শহরের এই ভাইরাসের তাণ্ডব থেকে বাঁচার জন্য জঙ্গলে চলে গিয়েছেন। সেখানেই একটা কাঠের বাড়ি বানিয়ে ছেলেকে নিয়ে লুকিয়ে আছেন তিনি। কারণ তাঁর ছেলের খবর পেলেই মারতে ছুটে আসবে মানুষ। তাঁর ছেলে অন্যদের থেকে আলাদা। সে হাইব্রিড চাইল্ড। মাথায় হরিণের মতো শিং আছে। কান আছে। বাকি সবটাই মানুষের। ভাইরাস আসার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে এমন বেশ কিছু হাইব্রিড বাচ্চার জন্ম হয়েছে। যাদের বেশির ভাগকেই মেরে ফেলা হয়েছে। নয়তো লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কিম্বা গবেষণায় কাজে লাগানো হচ্ছে। এই হরিণ বাচ্চাটিই গল্পের হিরো গাস।
advertisement
আবার লাস্ট ম্যান বা বিগ ম্যান রয়েছেন। যে একসময় নামী রেসলার ছিল। ফুটবল খেলত। মানুষ মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে সে জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। এখানেই সে দেখা পাবে হরিণ ছেলে গাস-এর। ছোট্ট গাসকে নিয়ে শুরু হবে তাঁর লড়াই। অন্যদিকে এই দলে জুটে যাবে বিয়ার। ছোট্ট বেলায় মা বাবাকে হারিয়েছে সে। নিজের হাইব্রিট বোনকে খুঁজে পাচ্ছে না। বাচ্চাদের বাঁচানোই তাঁর কাজ।
ওদিকে খালি চিড়িয়াখানায় এক এক করে হাইব্রিড বাচ্চাদের খুঁজে বার করে সাহারা দিয়েছেন আর এক মা। সেখানেই আছে বিয়ারের বোন। ওদিকে লাস্ট ম্যানরা খুঁজে বেরাচ্ছে হাইব্রিডদের। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিচ্ছে প্রতিবেশীরাই। সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। দশ বছর কেটে গিয়েছে কোনও ওষুধ বের করা যায়নি। মনে করা হয় হাইব্রিডরাই ভাইরাসের কারণ। কিন্তু আসলে তা নয়। গোটা পিঁছনেই রয়েছে এক রহস্য। কিভাবে হবে এই রহস্যের সমাধান। না প্রথম পার্টে রহস্যের সমাধান হয়নি। একটা অংশ বলা হয়েছে। সমাধান হবে দ্বিতীয় পার্টে।
এই সিরিজ দেখতে দেখতে ভয়ে বুক কেঁপে উঠবে আপনার। মনে হবে এমনই এক ভাইরাসের সঙ্গেই তো পৃথিবী লড়ছে এখন। এ যেন তার থেকেও বিভৎস। তবে এটি একটি বিখ্যাত কমিক সিরিজ । জেফ লেমায়ারের কমিকের ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয়েছে সিরিজটি। অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে আপনাকে।
নেটফ্লিক্সে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি নম্বর পাচ্ছে ফ্যান্টাসি ড্রামা Sweet Tooth, ৪ জুন Netflix-এ মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজ। পরিচালনা করেছেন জিম মাইকেল। এর আগে তিনি মালবেরি স্ট্রিট পরিচালনা করেছিলেন। অভিনেতারা সকলেই দারুণ। কিন্তু এই মুহূর্তে মানুষ একটাই প্রশ্ন করছেন 'সুইট টুথ'-এর সেকেন্ড সিরিজ কবে আসবে? টান টান উত্তেজনা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে তেমন ভালো কোনও এন্ডিং না দিয়ে কেন শেষ করলেন পরিচালক, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও এখনও জানা যায়নি রিলিজ ডেট পরের পার্টের। তবে এই সিরিজ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে।