তাঁদের দাবী, গত বছর লক ডাউনের সময় আট মাস পানশালা বন্ধ ছিল। খুব কষ্টে গচ্ছিত টাকা দিয়ে এবং গয়নাগাটি বিক্রি করে সংসার চালিয়ে ছিলেন সবাই। শিল্পীদের বক্তব্য, ছেলে মেয়ের স্কুলের মাহিনা, চিকিৎসা, ইলেকট্রিকের বিল ,ফোনের বিল, খাওয়া-দাওয়া । এই বাবদ সারা মাসের সংসার চালাতে গেলে কুড়ি হাজার টাকার কাছাকাছি লাগে প্রতিটি সংসারে। সেই টাকাটা ওঁদের আর রোজগার হয় না। এবছর লকডাউন হওয়ার আগে এবং লকডাউনের সময় দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছেন ওঁরা।
advertisement
যদিও পানশালা খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেখানেও শর্ত। ভ্যাকসিন ছাড়া পানশালায় প্রবেশ করা বা অংশগ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অন্যদিকে ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। পেট আর মানে না! গান গাইতেই হবে। জীবনটা সঙ্গীত শিল্পের পেছনে উৎসর্গ করেছেন সবাই। এরাও শিল্পী। মনের ভেতর থেকে সকলে শিল্পী। তবে স্বীকৃতি নেই। ওঁদের দাবি, সরকার যেন ওঁদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে। ফুটপাথে গান গাইতে গাইতে সুরেই বললেন'দিদি আপনি ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই। আপনি আমাদের বাঁচান।'সবাই তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। অনেকে দীর্ঘ ২৫ থেকে ৩৫ বছর এই পেশায় আছেন। এখন বয়সের ভারে ঠিকঠাক চলাফেরা করতে পারেন না। কোনভাবে এসে বসে থাকেন বারে। যা রোজগার হয় তাই নিয়ে বাড়ি যান। এখন সে রোজগার টুকুও নেই। এ রকমই এক জন আড়ষ্ঠ গলায় বললেন,' বার না খুলতে দিলে, না খেতে পেয়ে মারা যাব '।
SHANKU SANTRA