সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন নীলাঞ্জনা। নিজের প্রাণ বিপন্ন করেও অপরিচিত একজনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন তিনি। নির্ভীকতার পরিচয় দিতে গিয়ে, নিজে হয়েছেন ক্ষত বিক্ষত। দুস্কৃতির গাড়ির ধাক্কায় পায়ের হাড় ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে। তবুও থামেননি তিনি। কঠিন অস্ত্রপ্রচারের পর ফের স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে চেষ্টা করছেন তিনি। নীলাঞ্জনার সাহসে মুগ্ধ মিমি। তাঁর কথায়, 'সকলে এমনভাবে এগিয়ে আসতে পারেন না। নীলাঞ্জনা পেরেছেন। আমার অতীতের স্মৃতি উস্কে দিল এই ঘটনা। তখন অনেকে সাবাসী দিয়েছিলেন। আবার অনেকে বলেছিলেন দুঃসাহস দেখিয়েছি। তবে নীলাঞ্জনাকে দেখে বুঝতে পারছি আমি ঠিকই করেছিলাম। তবে ওঁর মতো এতটা সাহস বোধহয় আমার নেই।'
advertisement
বছর তিনেক আগে এমনই একটা ঘটনা ঘটেছিল সাংসদ অভিনেত্রী সঙ্গে। তখন যদিও মিমি সাংসদ হননি। তিনি ফিরছিলেন চাকদা থেকে দেবের সঙ্গে একটা শো করে। তেঘড়িয়ার কাছে আচমকা একটি গাড়ি বেসামাল হয়ে একটি বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। তাঁর চোখের সামনে ঘটে এই ঘটনা। মিমি সেই গাড়ির পিছু নেন। গাড়িতে থাকা মদ্যপ দুই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে শুধু তুলে দেন। শুধু তাই নয়, তাদের নিজের হাতেও উচিত শিক্ষা দেন মিমি। দেহরক্ষীদের সঙ্গে মিলে মদ্যপ ব্যক্তিদের ঘা কতক দেন তিনি।
নীলাঞ্জনার মতো প্রতিবাদ করা, এগিয়ে আসা খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন মিমি। এরকম প্রতিবাদ করলে ধীরে ধীরে সমাজ অনেক পরিষ্কার হবে বলে সাংসদ-অভিনেতার মত। নীলাঞ্জনার আরোগ্য কামনা করলেন মিমি।
ARUNIMA DEY