অনেকেরই জল্পনা যে, এই ছবির জন্য ডি-এজিং টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন অভিনেতা। যদিও এই সমস্ত গুঞ্জন-জল্পনা একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। আপ জ্যায়সা কোই-র ট্রেলার লঞ্চে মাধবন বলেন, “সকলেই দাবি করছেন যে, আমি ডি-এজিং করিয়েছি। কিন্তু আমার মনে হয় না, সেই বাজেট আমার ছিল। এমনটা একেবারেই হয়নি।”
এখানেই শেষ নয়, অতীতের স্মৃতিও উঠে এল অভিনেতার কথায়। ২০১৬ সালে ‘সালা খরুস’ ছবির প্রস্তুতির অভিজ্ঞতার স্মৃতি হাতড়ে মাধবন বললেন, “সালা খরুস ছবির জন্য যখন আমি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম, তখন আমি একাধিক ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ গ্রহণ করেছিলাম। শুধু তা-ই নয়, অনেক মানুষের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। কীভাবে ওজন ঝরিয়ে ফিট থাকা যায়, সেই বিষয়ে প্রচুর পরামর্শ নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হল – কী ডায়েট মেনে চলতে হবে, কোন সময়ে খেতে হবে এবং আরও নানা কিছু…। কিন্তু এমন কোনও পরামর্শ পাইনি, যার সঙ্গে আমার ধারণার সত্যিকারের মিল রয়েছে।”
advertisement
তাহলে শেষে কীভাবে ওজন ঝরাতে পারলেন অভিনেতা? সেই প্রসঙ্গে মাধবন জানান যে, এক প্রাচীন ধারণার ফিটনেস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। আর সেই আলাপ থেকেই তাঁর ধারণাতেও এসেছিল স্পষ্টতা। অভিনেতার কথায়, “উনি একটা সোজাসুজি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, যদি ওজন ঝরাতে চান, তাহলে আপনাকে কম খেতে হবে।” সেই পরামর্শ মেনেই এরপর থেকে শুধুমাত্র খিদে পেলেই খেতেন মাধবন। এমনকী খাবার খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময়ও মানতেন না। আর এই কৌশলই অভিনেতার জন্য দারুণ কাজে আসে।
প্রসঙ্গত আগামী ১১ জুলাই ২০২৫ তারিখে ওটিটি-তে আসছে ‘আপ জ্যায়সা কোই’। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির ট্রেলারে একজন মধ্য চল্লিশের সংস্কৃত শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মাধবনকে। এরপর মধ্য তিরিশের এক মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। আর এই মহিলার চরিত্রেই অভিনয় করেছেন ফতিমা। আসলে তাঁদের মধ্যে বিয়ের দেখাশোনা চলছে। এই ছবিতে ভালবাসার গুণমানের বিষয়টাই প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই ছবিতে মাধবনের গোঁড়া পরিবারের মানসিকতার জেরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার দিকটাও উঠে এসেছে।