আজ সেই সব মজার দিনগুলোর কথা বড্ড মনে পড়ছে ৷ ঋতুকে বড্ড মিস করি ৷ ওর সেই হাসি সে কী কোনদিনও ভোলা যায়!
‘চোখের বালি’ ছবিতে রাজলক্ষ্মীর চরিত্রে লিলি চক্রবর্তী ৷
প্রথম আলাপ একটা ফুড প্রডাক্টের কাজে ৷ সেই অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল ৷ এরপর মাঝখান দিয়ে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল ৷ ওর সঙ্গে একটা সিরিয়ালে কাজ করার কথা হয়েছিল ৷ তবে শেষ পর্যন্ত কাজটা করা হয়ে ওঠেনি ৷
advertisement
তার পর একদিন সকালে ও আমায় ‘চোখের বালি’তে কাজ করার অফার দেয় ৷ মহেন্দ্র’র মা রাজলক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে হবে ৷
কাজ শুরু হল-এত ভাল পরিচালক ও সে তো বলে বোঝানো যাবে না ৷ এত বছর ধরে অভিনয় তো করেছি, এত বড় বড় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি ৷ কিন্তু ঋতুর সঙ্গে কাজ করতে বিন্দু মাত্রও অসুবিধে হয়নি আমার ৷ আর সবথেকে বড় কথা ওর লেখা ডায়লগগুলোর বিশেষত্ব রয়েছে ৷ কেন না অভিনেত্রী হিসেবে ঋতুর লেখা ডায়লগগুলো ছিল অত্যন্ত সহজ সরল ৷ ডায়লগ বলতে কোনওরকম অসুবিধেই হত না ৷
‘চোখের বালি’ ছবিতে রাজলক্ষ্মীর চরিত্রে লিলি চক্রবর্তী ৷
অনেকেই ডায়লগ লেখেন, সেখানে নিজেদের বুদ্ধিমত্তা এবং অভিজ্ঞতা লাগাতে হয় ৷ কিন্তু ঋতুর স্ক্রিপ্টের জন্য বিশেষ করে জোর লাগাতে হত না ৷
এখনও মনে আছে-শুটিংয়ের আগে ঋতু এত ভাল করে বুঝিয়ে দিত, সেই কারণে কোনও অসুবিধে হত না ৷ এমনকী ভাল কাজ হলে বলত-‘ভাল হয়েছে’৷ খারাপ হলে সেটাও মুখের উপর বলে দিত ৷ বলত ‘‘ধুৎ, খুব খারাপ হয়েছে ৷ আরও একবার টেক দে৷’’
যেখানে দেখা হত এক গাল হেসে জড়িয়ে ধরত ৷ হয়তো ওর পোশাকের জন্য আমি ওকে চিনতে পারিনি ৷ ঋতু দূর থেকে এসে বলত, ‘‘কী গো চিনতে পারোনি ৷ কথা বললে না যে...’’ এমন করে স্পষ্ট কথা আর কে বলতে পারে!
অনুলিখন: অমৃত হালদার ৷