‘এক আকাশের নীচে’-এর কিশোরী পাখি এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী ৷ স্বামী এবং একরত্তি মেয়েকে নিয়ে তাঁর ভরপুর সংসার ৷ তার মাঝেও ভুলে যাননি অভিনয় এবং নাচকে ৷ বাড়ি থেকেই শুরু করেছেন অনলাইন ওয়ার্কশপ ও গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প ৷ এসব কিছুই মন ভাল রাখার প্রয়াস, ফেসবুক লাইভে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী ৷
তবে বাকিদের মতো এই ধূসর সময়ে তিনিও বিষণ্ণ ৷ বলছেন কনীনিকা ৷ শিল্পীদের বর্তমান পরিস্থিতি উপার্জনহীন৷ ভবিষ্যতও অনিশ্চিত ৷ এই সঙ্কট ভাবিয়ে তুলেছে তাঁকেও ৷ জীবনের এই পর্বে এসে নতুন ভূমিকাও পালন করতে হচ্ছে ৷ সেটা গৃহবধূর ভূমিকা ৷ কনীনিকার কথায়, তিনি কোনওদিন ভাবেননি গৃহবধূ হবেন ৷ এখন গৃহবন্দি জীবনে তিনি কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকল গৃহবধূকে ৷ নিজেও চেষ্টা করছেন সব দিক সামলে রাখার ৷ তবে তাঁর স্বীকারোক্তি, মায়ের মতো নিখুঁত গৃহবধূ তিনি হতে পারেননি ৷
advertisement
২০১৭ সালে ব্যবসায়ী সুরজিৎ হরিকে বিয়ে করেন কনীনিকা ৷ দু বছর পরে জন্ম তাঁদের একমাত্র মেয়ে কিয়া-র ৷ সুরজিতের প্রথম পক্ষের ছেলে দ্রোণের সঙ্গেও কনীনিকার সুসম্পর্ক বজায় আছে ৷ সামাজিক মাধ্যমে মাঝে মাঝেই ছোট্ট কিয়া-র ছবি শেয়ার করেন কনীনিকা ৷ সেখানে কখনও খুদে কিয়া পুতুল নিয়ে খেলছে ৷ কখনও আবার পিঠে স্কুলব্যাগ নিয়ে বাড়িতেই চলছে স্কুল স্কুল খেলা ৷
কিয়া-র কথা ভেবেই পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেন না কনীনিকা ৷ বাবা, মা এবং শাশুড়ির মতো পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন ৷ পরিবারের আরও এক সদস্য তাঁর বিষণ্ণতার কারণ ৷ সে ‘বক্সার’, কনীনিকার পরিবারের পোষ্য ৷ তবে তাকে নিজের ছেলে বলেই মনে করেন অভিনেত্রী ৷ দশ বছরের বক্সারের গুরুতর অসুস্থতা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে ৷ তিনি ভাবতেই পারছেন না কোনওদিন বক্সারকে ছেড়েও থাকতে হবে!
মনকে প্রস্তুত করছেন পারিপার্শ্বিক দেখে ৷ একইসঙ্গে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন সৃষ্টিশীল নানা কাজে ৷ অনুরাগীদের তাঁর পরামর্শ, এভাবেই নিজেদের মগ্ন রাখতে হবে সৃজনশীলতায় ৷ অভিনয় ও নাচ শেখার অনলাইনে ইতিমধ্যেই ভাল সাড়া পেয়েছেন তিনি ৷ স্কুলজীবন থেকেই নাচ শিখিয়েছেন কনীনিকা ৷ আপাতত ফিরে যাওয়া সেই পুরনো অভ্যাসেই ৷ তবে এ বার তিনি হাতেকলমে না শেখালেও প্রতি ক্লাসে উপস্থিত থাকছেন ৷ মনের খেয়াল রাখতে, যত্ন নিতে, সৃজনশীলতাই ভরসা অভিনেত্রীর ৷