ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাকে বহু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে...আমি সেরা অবস্থায় ছিলাম না, সি সেকশনে অস্ত্রোপচার, পেইন কিলার, ক্লান্তি, উদ্বেগ, স্তন্যপান করানো...কিন্তু আমরা একে অন্যকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যে এই যাত্রায় আমরা পাশে থাকব এবং সবকিছুকেই আমাদের জন্য খুব সুন্দর করে তুলব৷’’
নবজাতকের সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে কিশ্বর লিখেছেন, ‘‘নামও বলব...মুখও দেখাব...তবে এখন শুধুই আপনাদের কাছ থেকে ভালবাসা চাইছি ৷ আমাদের যে ভালবাসা ও আশীর্বাদ আপনারা দিয়েছেন, তার জন্য কোনও ধন্যবাদই যথেষ্ট নয় ৷’’
advertisement
এর আগেও অন্তঃসত্ত্বাকালীন সমস্যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন কিশ্বর ৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘‘সবকিছু যে খুব ভাল মতো গিয়েছে, তা নয় ৷’’ একইসঙ্গে জানান, থাইরয়েড ও হেমারয়েডস-এর মতো শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি তাঁকে হতে হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে ছিল ইচিব্রেস্টস-এর সমস্যাও ৷ অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্তনে অসম্ভব প্রদাহ বা চুলকানি সমস্যা ৷ মুডস্যুইং বা ঘন ঘন মনের আকাশে আবহাওয়া পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েও তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে ৷ বাকি মায়েদের মতো তাঁর শরীরেও এসেছে স্ট্রেচমার্কস ৷ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে তিনি ভরসা রেখেছেন জুম্বা ও ওয়ার্ক আউটের উপর ৷ পাশাপাশি ডায়েটে রাখছেন আম, দুধ এবং ঘি ৷ তবে যন্ত্রণার সবথেকে বড় উপশম তাঁর কথায় জীবনসঙ্গীর পাশে থাকা ৷ কারণ তিনি মনে করেন জীবনসঙ্গীর সান্নিধ্যই যাত্রাপথকে মসৃণ করে ৷
কাজের সূত্রেই পরিচয় সুয়াশ ও কিশ্বরের ৷ তাঁদের প্রথম আলাপ হয়েছিল ‘প্যায়ার কি ইয়ে এক কহানি’-র সেটে ৷ কয়েক বছরের প্রেমপর্বের পর অবশেষে বাঁধা পড়েন সাতপাকে ৷ সুয়াশ ও কিশ্বরকে দেখা গিয়েছে ‘বিগ বস’-এর নবম সিরিজেও ৷