এই ‘গৌরি কুঞ্জ’-এই ১৯২৯ সালে জন্ম নেন কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমার ৷ তাঁর বাবা কুঞ্জলাল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন একজন আইনজীবী। মায়ের নাম গৌরি দেবী। চার ভাই বোনের মধ্যে কিশোর ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।
শুধু কিশোর কুমার নন, তাঁর বড় দাদা তথা প্রয়াত অপর কিংবদন্তি নায়ক অশোক কুমারের শৈশব কেটেছে খাণ্ডোয়ার-এই বাংলোয়। বলিউডের সফল অভিনেতা ছিলেন তিনি। পরিচিত ছিলেন দাদামনি নামেই। এছাড়া এ বাড়িতেই শৈশব কেটেছে কিশোর কুমারের আরেক দাদা অভিনেতা অনুপ কুমারেরও। বিক্রি হয়ে গেল কিংবদন্তি শিল্পীদের স্মৃতি বিজড়িত সেই বাংলো ৷
advertisement
এর আগে স্থানীয় পৌরসভা ভেঙে ফেলার নোটিশ দিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ওঠায় পরে বাড়িটি সংরক্ষণ করা হবে বলে জানানো হয়। অবশেষে বিক্রি হয়ে গেল কিশোর কুমারের সেই পৈতৃক ভিটে ৷ জানা গিয়েছে, ৭,২০০ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে এই বাংলো ৷ যা নাকি ২০ হাজার টাকা প্রতি বর্গ ফুটের হিসাবে বিক্রি হয়েছে ৷ আর এই খবর সামনে আসতেই বিক্ষোভ শুরু করেছেন এই বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীর ভক্তরা ৷ তাঁরা গতকাল সকাল থেকেই ‘গৌরী কুঞ্জ’-এর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ৷ তাঁরা মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে দাবি করেছেন, যাতে এই বাংলোটিকে সংরক্ষণ করে মিউজিয়ামে রূপান্তর করা হয় ৷ এবং এই বাংলোটিকে হেরিটেজ সাইট বলে ঘোষণা করা হোক চান তাঁরা ৷ কিশোর কুমারের স্মৃতি বিজড়িত এই বাংলো কোনওভাবেই অন্য হাতে চলে যাত চান না তাঁরা ৷