সিনেমার প্রতিটি চরিত্রের জীবনে একটি করে ভিন্ন গল্প ছিল। হৃতিক, ফারহান এবং অভয় যথাক্রমে অর্জুন, ইমরান এবং কবীর চরিত্রগুলিকে অভিনয়ের মাধ্যমে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। এছাড়াও এই সিনেমায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফকে। এই সিনেমায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের বেশ মনোযোগ ভালোই মন জয় করেছিল।
ক্যাটরিনা সিনেমায় লায়লার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং তিনি জীবনের প্রতি তাঁর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দর্শকদের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিলেন। আমরা অনেকেই আছি যারা লায়লার মতো জীবনযাপন করতে ইচ্ছুক, তবে কালের নিয়মে আমাদের অনেকেরই সেই ইচ্ছা পূরণ হয়ে ওঠে না। লায়লা এমন একজন চরিত্র যার জীবনদর্শনও জিন্দগী না মিলেগি দোবারা টাইটেলের সঙ্গে সঙ্গত।
advertisement
লায়লা একজন আত্মবিশ্বাসী এবং স্বাধীন মহিলা যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে পুরোপুরি উপভোগে বিশ্বাস করেন। সৈকতের পাশে তাঁর নিজস্ব সময় উপভোগ করা হোক বা পরিষ্কার আকাশের নীচে শুয়ে থাকা এবং রাতে তারা দেখা, লায়লা সব সময়েই বর্তমান মুহুর্তে বেঁচে থাকার ওপর বিশ্বাস করেন। তিনি অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন।
লায়লা ভ্রমণ করতে এবং বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন জায়গা অন্বেষণ করতে পছন্দ করেন। কোস্টা ব্রাভাতে গভীর সমুদ্রে ডাইভিং উপভোগ করার পর, লায়লার মরক্কোতে যাওয়ার কথা ছিল এবং তাঁর দুঃসাহসিক কাজ অবশ্যই অব্যাহত থাকত, যদি না তিনি প্যাম্পলোনায় অর্জুন এবং অর্জুনের গ্যাংয়ের সঙ্গে আবার দেখা করতেন। এরই মাঝে অর্জুনের প্রেমে পড়েন লায়লা। অর্জুন এবং লায়লার সম্পর্ক সত্যিই জিন্দগী না মিলেগি দোবারার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল। তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন সকলে হৃদয় জয় করেছিল। শেষে তাঁদের বিয়েও হয়।