শুধু গান পৌঁছে গিয়েছে এমন নয়, বদলে গিয়েছে সাদা মাটা ভুবনের জীবনও(Bhuban Badyakar)। এক সময় তাঁর জীবন যেমন ছিল তিনি তাতেই খুশি ছিলেন। তিনি জানতেন না একদিন তিনি স্টার হবেন। এখন তাঁর চোখে শুধুই স্বপ্ন। ছাপোষা জীবন ছেড়ে রঙিন জীবনের হাতছানি। তিনি এখন সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। ঠিক বছর দুয়েক আগে এভাবেই ভাইরাল হয়েছিলেন রানু মন্ডল। কলকাতা-মুম্বই, সে একেবারে রাতারাতি স্টার। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রানু মন্ডলকে ফিরতে হয়েছে নিজের আগের জায়গায়। এখন তাঁকে নিয়ে মজা করা ভিডিও বানানো হয়। যদিও কয়েকজন এখনও তাঁর কাছে গানের খোঁজেই যান। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আর তিনি স্টার নয়। রাতারাতি মাটিতে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
advertisement
আজ যে ভুবনকে(Bhuban Badyakar) নিয়ে এত মাতামাতি, ভাইরালের মেয়াদ ফুরোলে তাঁকে কি সত্যিই কেউ চিনবে! সম্প্রতি কলকাতার একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁতে গান গাইতে আনা হয় তাঁকে। সেখানে অনেক জনপ্রিয় টলি সেলেবরাও ছিলেন। ভীষণ সরল মনে নিজের 'কাঁচা বাদাম' গানটি গাইলেন ভুবন। কিন্তু সত্যিই কি তাঁর গান তাঁকে এই জায়গায় এনেছে? এ প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরাই। বিশিষ্ট সাহিত্যিক কলম ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই। যতক্ষণ ভাইরাল ততক্ষণ খবরে। তারপর? কেন এই সাধারণ সিদেসাদা মনের মানুষ গুলোকে স্বপ্ন দেখিয়ে পাপেট বানানো হচ্ছে? এ তো এক ধরণের নিম্ন মানসিকতার পরিচয়।
আসলে ভুবনের(Bhuban Badyakar) ভাইরাল স্টেটাসকে কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষ নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। ওই যতদিন ভাইরাল, ততদিন। তারপর ভুবনরা পারবেন তো নিজেদের ছাপোষা জীবন মেনে নিতে! ফের বাদাম বিক্রি করতে পারবেন তো লোকটা? এই প্রশ্ন নেটিজেনদেরই। আমরা কি সত্যিই একটু বেশি অমানবিক হয়ে উঠছি না, এই ভাইরালের চক্করে! এ বিষয়ে বোধহয় ভাবার সময় হয়েছে। নয়তো, এমন অনেক সাদামাটা ভুবনের জীবন আলোর রোশনাইতে ঝলসে যাবে! সত্যিই কি মানুষ ভাইরালদের মনে রাখে?