জানি না কীভাবে স্রোত ভেঙে দেয় নদীর জড়তা”
আমাদের প্রজন্মর চোখে কলকাতার ক্যানভাস তুলে ধরেছিলেন এই পাগলা বিপ্লবী! সত্যিই তিনি পাগল, তাই তো সহজ কথাটা সহজে বলতে পেরেছিলেন- ” কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায়?”
কীভাবে যেন সত্যি হয়ে গিয়েছিল তাঁর কলম– ”প্রথম প্রেমে পড়ার পর সবাই পস্তায়/ হন্যে হয়ে ক্লাস পালিয়ে ঘুরেছি রাস্তায়/ প্রথম প্রেম ঘুঁচে যাওয়ার যন্ত্রণাকে নিয়ে/ কান্না চেপে ঘুরেছিলাম তোমারই পথ বেয়ে…”
advertisement
আজও মনে তাঁর প্রশ্নই ঝড় তোলে– ” কত হাজার পারের পর আকাশ দেখা যাবে/ কত কান পাতলে তবে কান্না শোনা যাবে”
আজও দিনের শেষে তাঁর কথাই সত্যি হয়, ” চেনা দুঃখ চেনা সুখ/ চেনা চেনা হাসি মুখ/ চেনা আলো চেনা অন্ধকার!/ চেনা মাটি চেনা পাড়া/ চেনা পথে কড়া নাড়া/ চেনা রাতে চেনা চিৎকার…”
এই তরুণ তুর্কির বয়স এখন ৭৫! কিন্তু এই মানুষটার ক্ষেত্রে বয়স শুধুই একটা সংখ্যা! আর তাই তো ৭৫ বছরে ফের ‘প্রেমে’ পড়লেন কবীর সুমন। ভ্যালেনটাইন্স ডে-র দিন তরুণীর সঙ্গে ছবি দিলেন ‘গানওয়ালা’, ক্যাপশনে লেখা, ‘‘ভ্যালেন্টাইন ২০২৫’’।
যখন এই পজন্ম প্রমে পড়তে ভয় পায়, প্রেম- বিয়ে থেকে ভরসা হারায়, তখন এই তরুণ তুর্কি তাদের ভালবাসার পাঠ দিলেন… ”প্রথমত আমি তোমাকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই, তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই…”!
জানা যায়, যার সঙ্গে সুমন ছবি দিয়েছেন, তিনি তাঁর ছাত্রী। নাম সৌমী বসুমল্লিক। যদিও তাঁকে প্রেমিকা মানতে নারাজ সুমন, তবু সৌমীর সমাজমাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে তাঁর প্রায় প্রতিটি ছবির ক্যাপশনে রয়েছে সুমনের গান।