জামাইষষ্ঠী বলে কথা ৷ এই বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশন নিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ যতই হোন না কেন সেলেব! আফটার অল জামাই তো ৷ সুদীপার সঙ্গে বিয়ের পর থেকে প্রতিবছরই নিয়ম মেনে জামাইষষ্ঠীতে অংশ নেন তিনি ৷ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মা দীপালি মুখোপাধ্যায় ষষ্ঠীর ব্রত করে সবার মঙ্গল কামনা করা হয় ৷ তার উপর এ বার পরিবারে এসেছে নতুন সদস্য সুদীপা ও অগ্নিদেবের সংসার আলো করে এসেছে ছোট্ট আদিদেব ৷ এ বারই তার প্রথম ষষ্ঠী ৷ দিদার হাতের পাখার বাতাসের পরশ লাগল আদির শরীরে ৷ আর তারই সঙ্গে জামাইআদরে ভাসলেন তার বাবা অগ্নিদেব ৷
advertisement
আসলে বেশ ভোজনরসিক এই পরিচালক ও প্রযোজক ৷ তাঁর বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানেই একটা বিরাট অংশ নিয়ে থাকে খাওয়া দাওয়া ৷ আর তাঁর শাশুড়িমাও এ দিন বেশ যত্ন করেন ৷ এ বছরও তার অন্যথা হল না ৷ খুব একটা বেশি খেতে পারেন না অগ্নিদেব ৷ সেই কারণে দুই ভাগে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে ৷
প্রথম পর্বটি থাকে দুপুরে, অন্যটি রাতে ৷ দুপুর আর রাতের খাবারের রাখা হয়েছে হরেক কিসিমের খাবার ৷ একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সেই মেনুতে ৷ মাটন আর মাছ খেতে ভালোবাসেন না অগ্নিদেব ৷ দুপুরের মেনুতে ছিল-ভাত,মুগের ডাল,ঝুরঝুরে আলুভাজা,মোচার চপ, পনিরের রসা,ডাব চিংড়ি,মুরগির মাংস,আলুবোখরার চাটনি আর আম,সন্দেশ। আর রাতের মেনুতে রাখা হয়েছে-ঘিয়ে ভাজা লুচি,আলু-কপি ভাজা,বেগুন ভাজা, ছোলার ডাল,ছোট আলুর দম,ঢাকাই পোলাও,মরিচ মুরগি,লিচুর পায়েস। আর উপহার? জামাইষষ্ঠীর দিন খাওয়া দাওয়া যেমন একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে, তেমন উপহারটাও কিন্তু একটা বিরাট বড় বিষয় ৷ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মা মেয়ে এবং জামাইকে দিয়েছেন টাকা আর আদির জন্য এসেছে নতুন জামা ৷ অন্যদিকে, অগ্নিদেব তাঁর শাশুড়িমাকে দিয়েছেন একটি মুক্তোর সেট ৷ তবে এ বছর শ্যুটিংয়ের চাপের কারণে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে হয়েছিল অগ্নিদেভ চট্টোপাধ্যায়কে ৷