প্রসঙ্গত রাকেশের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ৷ প্রথম ছবিতে অভিনয় ১৯৭০ সালে ৷ তিনি আত্মপ্রকাশ করেন ‘ঘর ঘর কি কহানি’ ছবিতে ৷ সে সময় বলিউডে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খন্নার মতো মহাতারকার ভিড়েও নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন ৷ রোম্যান্টিক ছবিতে রাকেশ ছিলেন অনেক পরিচালকেরই প্রথম পছন্দ ৷ ‘বুনিয়াদ’, ‘নফরত’, ‘ত্রিমূর্তি’, ‘জখমি’, ‘খেল খেল মেঁ’, ‘প্রিয়তম’, ‘দেবতা’, ‘আহূতি’, ‘খুবসুরত’, ‘খট্টা মীঠা’, ‘হকদার’, ‘জিনে কি আরজু’, ‘হমারি বহু অলকা’, ‘এক অউর সিকন্দর’, ‘বহুরানি’, ‘কালা বাজার’, ‘বহুরনি’-সহ অসংখ্য ছবিতে তাঁর অভিনয় দাগ কেটে গিয়েছে দর্শকদের মনে ৷
advertisement
পরিণত বয়সেও রাকেশ পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা এবং পরিচালকদের সঙ্গে ৷ ‘করণ অর্জুন’, ‘অকেলে হম অকেলে তুম’, ‘কয়লা’-র মতো ছবিতে তিনি নিজেকে মেলে ধরেন চরিত্রাভিনেতা হিসেবে ৷
অনেকেই বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে জীবনের পরবর্তী ইনিংসগুলিতে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি সফল রাকেশ রোশন ৷ ২০০০ সালে তাঁর পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘কহো না প্যয়ার হ্যায়’ ৷ ছেলে হৃতিককে লঞ্চ করতেই এ ছবির আয়োজন রাকেশের ৷ প্রথম ছবিতেই বাজিমাত, রাতারাতি সুপারস্টার হার্টথ্রব হয়ে ওঠেন হৃতিক ৷
এর পর হৃতিকের কেরিয়ারের পালে যখনই শক্তিশালী বাতাসের প্রয়োজন হয়েছে, এগিয়ে এসেছেন রাকেশ ৷ ‘কোই মিল গ্যয়া’, ‘ক্রিশ সিরিজ’-এর ছবিগুলো সে কথাই বলে ৷
তবে প্রযোজক এবং পরিচালক হিসেবে রাকেশের সব ছবিতেই যে হৃতিক অভিনয় করেছেন, তা নয় ৷ বলিউডের অন্য তারকাদের নিয়েও একাধিক ছবি তৈরি করেছেন তিনি ৷ তবে যেটা লক্ষণীয় তা হল, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে তাঁর ছবিগুলির নামের ইংরেজি বানান শুরু হয়েছে ‘K’ দিয়ে ৷
মঙ্গলবার, রাকেশের জন্মদিনে সামাজিক মাধ্যমে হৃতিকের পোস্টের প্রেক্ষিতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসংখ্য নেটিজেন ৷