গত দশ ধরে বাংলা সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন অভিনেতাদের বলিউডে এবং দক্ষিণে চাহিদা বাড়ছে। বাঙালি অভিনেতারা ব্যক্তিক্রমী ভাবে একের পর এক সর্বভারতীয় স্তরে প্রশংসা পাচ্ছেন।
অভিনেত্রী পাওলি দামের মতে, আঞ্চলিক অভিনেতারা, বিশেষ করে বাঙালিরা তাঁদের অভিনয়ের বহুমুখিতায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এবিষয়ে পাওলি বলেন, "এখন 'প্যান-ইন্ডিয়া প্রায়ই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের নেয়। যেমন, প্রতীক গান্ধি যিনি এত বছর ধরে একজন পরিচিত গুজরাতি অভিনেতা ছিলেন, কিন্তু এখন স্ক্যাম ১৯৯২-তে অসাধারণ অভিনয়ের পরে জাতীয় মুখ হয়ে উঠেছেন। "
advertisement
আবার অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরীর মনে করেন, "বাংলা থেকে আমাদের অনেকেই জাতীয় স্তরে অভিনয় করছেন কারণ আমাদের প্রত্যেকের নির্দিষ্ট স্বতন্ত্রতা রয়েছে। তাই পরিচালকরা আমাদের মধ্যে চরিত্রগুলি খুঁজে পান।" শুধু চরিত্র এবং স্ক্রিপ্ট নয়, একজন ভালো পরিচালকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন টোটা।
অন্যদিকে, অনুষ্কা শর্মার (Anushka Sharma) মতো বড় ব্যানারের প্রোডাকশন হাউসে কাজ করা জাতীয় স্তরে তাঁর সবচেয়ে ভাল অভিজ্ঞতা বলে ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেতা পরব্রত চট্টোপাধ্যায়। এবিষয়ে তিনি বলেন "আমার অভিনয়ের দু'টি প্রোজেক্ট পরী এবং বুলবুল বেশ উপভোগ্য ছিল। সম্প্রতি, আমি আকর্ষ খুরানার কাজ করেছি এবং এটিও আবার মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা। আরণ্যকও একটি উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা।"
অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত শুধু মুম্বইতেই নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করছেন এবং দক্ষিণের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "দক্ষিণে কাজ করলে চোখ খুলে যায়। কলাকুশলীদের তেলেগু ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রি যে সম্মান দেখায় তা অবিশ্বাস্য। ওদের থেকে আমাদের সকলের শেখা উচিত৷ ওরা অত্যন্ত সংগঠিত ইন্ডাস্ট্রিও। ওরা বাহুবলীর মতো বিশালাকার সিনেমা যেমন করে, একই ভাবে মাঝারি-বাজেটের সিনেমার প্রতিও সমান ভালোবাসা রয়েছে।"