ছবির মূল ভাবনায় রয়েছেন কৌশিক চক্রবর্তী, কাহিনী বিন্যাস৷ চিত্রনাট্য লিখেছেন সুদীপ দাস৷ অতিরিক্ত চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। ছবির সৃজন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন হিন্দোল চক্রবর্তী৷ ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন ঈশ্বর বারিক৷ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন সুজয় দত্ত রায়৷ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শুভঙ্কর – শুভম জুটি ৷ আবহ সঙ্গীত নির্মাণ করেছেন এস. পি. ভেঙ্কটেশ (চেন্নাই) ।
advertisement
ছবির কাহিনীর মূলে সায়ন্তন ওরফে সন্তুর গল্প। তার বাবা রমণীকান্তের ধানের ব্যবসা, নন্দদুলাল সহ সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে প্রতিষ্ঠিত চাল মিলের মালিক সুবিমল বাবুর কারখানায় ধান যোগান দেওয়া তার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গ্রামের প্রভাবশালী চাষী পরিবারের ছেলে সন্তু বাবার ব্যবসার বাইরে গিয়ে কিছু করার আশায় বাড়ির অমতে চলে যায় কলকাতায়। আর সেখানেই চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখা হয়ে যায় নিধির সঙ্গে। অনাথ নিধির প্রেমে পরে সন্তু, বিয়ে করার ভাবনাচিন্তা ও করে ফেলে অচিরে, কিন্তু নিধির শর্ত কিছুতেই সন্তুর পরিবারের অনুপস্থিতিতে বিয়ে করবে না সে। সেই শর্তে সফল হতে পারে না সন্তু, বিয়ে ভেঙে যায় রেজিস্ট্রির দিনই। এর মধ্যে গ্রাম থেকে খবর আসে তার দাদার বিয়ে সুবিমল বাবুর মেয়ে অন্তরার সঙ্গে।
আরও পড়ুন- দিনভর আমিরকে চুম্বন! যেন লটারি লেগে গেছে, এমনটাই মনে হয়েছিল নবনীতের, ফাঁস করলেন সিক্রেট
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায় সে, আর সেখানেই তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে একের পর এক ঘটনার ঘনঘটা। কি এমন ঘটে সেই বিয়ে কেন্দ্র করে, নিধি আর সন্তু কি সব ভুলে এক হতে পারে? নাকি অপেক্ষা করে আছে আরও বড় কোনো টুইস্ট? ফ্যামিলি ড্রামা, রোম্যান্স, আর লার্জার দ্যান লাইফ স্টোরি টেলিং এর মোড়কে এমনই এক টুইস্ট – এ ভরা গল্প শোনাতে আসছে এই ছবি।
আরও পড়ুন-কাঠগড়ায় উঠতেই অঝোরে কান্না! ভেঙে পড়লেন পরীমণি, তারপর যা করলেন বিচারক…
ছবির বিষয়ে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী জানালেন, ‘এই ছবি সপরিবারে দেখার মতো একটা ছবি। অনেক কিছুর শুভারম্ভ এই ছবি ঘিরে। ছবিতে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন মদন মিত্রকে প্রথম বার অভিনয় করতে দেখবে বাঙালী। যদিও অভিনয়ের ক্ষেত্রে বেশ বলিষ্ঠ ছাপ রেখেছেন তিনি এই ছবিতে। লাবণী সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অভিনয় করেছেন; ব্যক্তি হিসেবে তার যে আমেজ, সেই আমেজ বজায় রেখেই এই ছবিতে এক নতুন অবতারে দেখা যেতে চলেছে তাকে।
এই ছবি দিয়ে বাংলা ছবির জগতে প্রথমবার অভিযান শুরু করছে ঋক, ওকে হিরো হিসেবে দর্শকদের ভাল লাগবে আমি নিশ্চিত। রাজনন্দিনীকেও এমন গ্ল্যামারাস অবতারে প্রথমবার পাবে বাঙালি দর্শক। রোম্যান্স রয়েছে, পারিবারিক হাসি, কান্না, স্নেহ, ভালবাসা রয়েছে ভীষণ ভাবে, ছবির বিভিন্ন মুডের সঙ্গে মিলিয়ে খুব সুন্দর গান তৈরী করেছে শুভঙ্কর ও শুভম। যে রকম বাংলা ছবি সকলের, যে ছবি বিনোদনের মধ্যে দিয়ে মানুষকে নিখাদ গল্প শোনাতে ভালোবাসে, সব ভেদাভেদ নির্বিশেষে দর্শকদের প্রিয় হয়ে উঠতে ভালোবাসে, ‘ওহ্! লাভলি’ ঠিক তেমন একটা ছবি। আশা করি দর্শকদের এই ছবি ভাল লাগবে।” আগামী ২৫ শে আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।