ইনফ্লুয়েন্সার এবং ইউটিউবার সার্থক সচদেবা গিয়েছিলেন Torii-তে। সেখানকার একটি ভিডিও তিনি ভাগ করে নিয়েছেন। বর্তমানে অবশ্য ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আসলে ওই ভিডিওটিতে সার্থক দাবি করেছেন যে, পনির টেস্ট করে তিনি আন্দাজ করেছেন, রেস্তোরাঁর তরফে যে পনির পরিবেশন করা হয়েছে, সেটির মধ্যে রয়েছে স্টার্চ। যা ভেজালের লক্ষণ। এখানেই শেষ নয়, গৌরীর রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা পনিরের টুকরো নিয়ে তার উপর আয়োডিন টিংচার পরীক্ষাও করেন সার্থক। মূলত স্টার্চের উপস্থিতি বোঝার জন্যই এই পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগকারী ইউটিউবার যখন আয়োডিনকে পনিরে ছোঁয়ান, তখন পনিরের টুকরোটি কালো এবং নীল হয়ে গিয়েছিল। আর রঙের এই পরিবর্তন দেখে সার্থক সরাসরি তোপ দেগে বলেন যে, “শাহরুখ খানের রেস্তোরাঁয় পনির ‘নকল’ ছিল। এটা দেখে তো আমার ঘুম উড়ে গিয়েছে।”
advertisement
এমনিতে নিজের কন্টেন্ট সিরিজের খাতিরে মুম্বইয়ের একাধিক সেলেবের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল বিরাট কোহলির One8 Commune, শিল্পা শেঠির Bastian এবং ববি দেওলের Someplace Else। সেই সমস্ত রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা পনিরের মানও পরীক্ষা করেছেন ওই ইউটিউবার। ওই সমস্ত আউটলেটে একই আয়োডিন টেস্ট করেছেন তিনি। কিন্তু কোথাওই পনির কালো হয়ে যায়নি। ফলে এর থেকে স্পষ্ট যে, পনিরে স্টার্চের উপস্থিতি নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র চর্চা শুরু হয়। ফলে জবাব দিতে আসরে নামতে হয় Torii কর্তৃপক্ষকেও। ভিডিও-র কমেন্টে রেস্তোরাঁর তরফে লেখা হয় যে, “আয়োডিন পরীক্ষায় স্টার্চের উপস্থিতি বোঝা যায়, কিন্তু পনির খাঁটি কি না, তা বোঝা যায় না। যেহেতু এই খাবারে সয়া-ভিত্তিক উপকরণ রয়েছে, তাই এহেন বিক্রিয়া হতেই পারে। আমরা আমাদের পনিরের বিশুদ্ধতা এবং Torii-তে আমাদের উপকরণগুলির বিশুদ্ধতার পক্ষে রয়েছি।” তবে ছাড়ার পাত্র নন সার্থকও। তির্যক সুর বজায় রেখে তিনি বলেন, “তাহলে আমাকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না, তাই তো? যাইহোক, আপনাদের খাবার কিন্তু খুবই ভাল।”
এদিকে গ্রেটার নয়ডার যথার্থ হাসপাতালের নিউট্রিশন এবং হেলথ বিভাগের হেড ডা. কিরণ সোনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, আয়োডিন টিংচার টেস্টে স্টার্চের উপস্থিতি ধরা পড়ে। কিন্তু পনির নকল কি না, সেটা সব সময় কিন্তু বোঝা যায় না। যদিও এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “যেহেতু খাঁটি পনির দুধের প্রোটিন থেকে তৈরি এবং এতে প্রাকৃতিক ভাবে কোনও স্টার্চ থাকে না, তাই আয়োডিন পরীক্ষা করে রঙ পরিবর্তনের হলে তা সিন্থেটিক কিংবা ভেজাল পনিরের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে।”