প্রথমেই বলা উচিত, ‘অংরেজি মিডিয়াম’ দেখতে বসে কখনই ‘হিন্দি মিডিয়াম’-এর সঙ্গে তুলনায় যাবেন না ৷ সেই তুলনাই কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে নেগেটিভ হতে পারে ৷ কারণ, ছবির বিষয়বস্তু, গল্প বলার কায়দার কথা ভাবলে, ‘হিন্দি মিডিয়াম’ এই ‘অংরেজি মিডিয়াম’ থেকে অনেক গুণে ভালো ৷ বলা ভালো চিত্রনাট্যের দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল হিন্দি মিডিয়াম ৷ তবে ওই যে বললাম তুলনা নয় !
advertisement
‘অংরেজি মিডিয়াম’-এর দুর্বলতা নিয়েই প্রথমে আলোচনা করা যাক ৷ পরিচালক হোমি আদজানিয়ার এই ছবি নতুন কোনও গল্প বলে না ৷ বলিউডে এর আগেও বাবা-মেয়ে, মেয়ের স্বপ্নপূরণ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে বহু ছবিই হয়েছে ৷ ‘অংরেজি মিডিয়াম’ ছবির দৈর্ঘ্যও এই ছবির আরেকটি দুর্বল পয়েন্ট ৷ একই দৃশ্যের বার বার ব্যবহার এই ছবির গতিতে স্লথ করে দেয় ৷
তবে এই ছবির সবচেয়ে স্ট্রং পয়েন্টই হল অভিনয় ৷ ইরফান খান তো অবশ্যই রয়েছেন ৷ করিনার স্ক্রিন টাইম তেমন বেশি নয় ৷ তবে যতটুকু তিনি রয়েছেন নজর কেড়েছেন ৷ ডিম্পল কাপাডিয়া, কিকু সারদা, এবং দীপক ডোবরিয়াল সবাই একেবারেই যথাযথ ৷
আলাদা করে বলতে হয় বলিউডে প্রায় নতুন রাধিকা মাদানের কথা ৷ ইরফানের পাশে তাঁর অভিনয় রীতিমতো প্রশংসাযোগ্য ৷ ছবিতে তারিকা চরিত্রে একেবারে মিলে মিশে গিয়েছিলেন রাধিকা ৷
‘অংরেজি মিডিয়াম’ এমন এক ছবি যা নতুন গল্প না বললেও, শুধুমাত্র দারুণ সব অভিনেতাদের পারফেক্ট অভিনয়ের জন্য দেখা যেতে পারে ৷ বরং বলা ভালো এই ছবি দেখা যেতে পারে শুধুমাত্র ইরফান খানের জন্যই !