প্রসঙ্গত ফরহা ও তাঁর ভাই সাজিদকে কার্যত সিঙ্গল মাদার হিসেবে বড় করেন মেনকা ইরানি ৷ মেনকার দুই বোন হানি ও ডেইজি ইরানি প্রখ্যাত বলিউডের শিশুশিল্পী হিসেবে ৷ বলিউডে পরিচিত ছিল এই পার্সি পরিবারটি ৷ ফিল্মি আবহে বড় হওয়া মেনকা বিয়ে করেছিলেন কামরান খানকে ৷
advertisement
কামরান নিজেও ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে চেনা মুখ ৷ স্টান্টম্যান থেকে প্রযোজক হয়েছিলেন তিনি ৷ সাফল্য আসতেও দ্বিধা করেনি কামরান-মেনকার সংসারে ৷
কিন্তু সমৃদ্ধি বেশি দিন স্থায়ী হল না ৷ একের পর এক ছবি ফ্লপ করায় সর্বস্বান্ত হয়ে যান কামরান ৷ ‘অ্যায়সা ভি হোথা হ্যায়’ ছবিতে বিনিয়োগ করে তিনি কার্যত কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েন ৷ সংসারে অশান্তি চরমে ওঠায় ছেলেমেয়ের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে চলে যান মেনকা ৷ আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে তাঁদের দিন কাটত ৷ অথচ সুসময়ে তাঁরাই ছিলেন আত্মীয় পরিজনদের প্রতি দরাজহস্ত ৷
ফরহার মাসি হানি ইরানি ছিলেন জাভেদ আখতারের প্রথম স্ত্রী ৷ দাম্পত্যের সূত্রপাতে কামরানের একটি ফ্ল্যাটেই কাটিয়েছিলেন জাভেদ-হানি ৷ কিন্তু পরিবর্তিত সময়ে কামরানের পরিবারই হয়ে পড়ে ঠাঁইনাড়া ৷ ব্যর্থ প্রযোজক কামরান মারা যান লিভারের অসুখে ৷
এর পর নিজের চেষ্টায় জীবনে প্রতিষ্ঠিত হন ফরাহ ও সাজিদ ৷ মা মেনকার লড়াকু মানসিকতা ছিল তাঁদের সংগ্রামের মূলধন ৷ সত্তরোর্ধ্ব মেনকা আজও প্রাণশক্তিতে ভরপুর ৷ তাঁর জন্মদিনে সে কথাই সকলকে মনে করিয়ে দিলেন ফরহা ৷