সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের নয়ডার মাদক পার্টিতে এলভিশের বিরুদ্ধে সাপের বিষ চোরাচালানের অভিযোগ তুলেছিলেন রাজনীতিবদ তথা পশু অধিকার কর্মী মানেকা গান্ধি। সম্প্রতি এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজস্থানের কোটার একটি চেকপোস্টে আটকানো হয়েছিল এলভিশকে। কিন্তু পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত ৭ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এলভিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এই জেরার সময় এলভিশ দাবি করেছিলেন যে, নয়ডার ওই মাদক পার্টিতে গায়ক ফাজিলপুরিয়াই সাপ সরবরাহ করেছিলেন। তবে সাপ ধরা অবস্থায় ওই ইউটিউবারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও ফাজিলপুরিয়া পরে অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, তাঁর একটি অ্যালবাম শ্যুটের জন্যই ওই দৃশ্যটি।
advertisement
সঙ্গীতশিল্পী আরও যোগ করেন, “আসলে দু’দিন আগে একটা ভিডিও রিলিজ করেছিলাম, তাতে বলেছিলাম এই ভিডিওটা আমার অ্যালবামের শ্যুটিংয়ের। এর সঙ্গে মাদক পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই। এলভিশের সঙ্গে হরিয়ানার আরও অনেক সঙ্গীতশিল্পীও এই ভিডিওতে যুক্ত ছিলেন। আমার গ্রামে গুরুগ্রামের ফাজিলপুরে এর শ্য়ুটিং হয়েছে। সেখানকার একটি বিল্ডিংয়েই গোটা সেটটি তৈরি করা হয়েছিল। ছয় মাস আগেই ‘৩২ বোর’ গানটি মুক্তি পেয়েছিল।”
অবশ্য এইসব অভিযোগ একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন ওই সোশ্যাল মিডিয়া তারকা। মানেকা গান্ধির আনা অভিযোগের জবাবে মুখ খুলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিও ক্ল্যারিফিকেশনও জারি করেছেন রিয়্যালিটি শো তারকা এলভিশ। তিনি জানিয়েছিলেন যে, আমি সকালে উঠেই দেখলাম আমার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম কেমন কেমন খবর ছড়াচ্ছে! যত অভিযোগ আমার উপর উঠছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। এর মধ্যে কোনও সত্যতা নেই।” সেই সঙ্গে মানেকা গান্ধির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।