মিকা লিখেছেন, “বন্ধুরা, আমি বুঝতে পারি যে, সকলেই নিজেদের জীবনে ভুল করেন। কিন্তু আমরা যখন ভুল করি, তখন একটা সহজ-সরল শব্দই প্রবল শক্তি ধরে। সেটা হল: সরি। দিলজিৎ যদি কোনও ভুল করে থাকেন, তাহলে আমরা তাঁকে ক্ষমা করতে চাই। কিন্তু তাঁর ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। আর নিজের ছবি থেকে সমস্ত আপত্তিকর দৃশ্য বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত। শুধু এটুকুই। কোনও ঘৃণা নেই। শুধু শ্রদ্ধা আর সম্মান। দেশ সবার আগে।”
advertisement
এর একদিন আগেই আর একটি নোট ভাগ করে নিয়েছিলেন মিকা সিং। সেখানে পাক তারকার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে দিলজিৎকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। এমনকী ‘ভুয়ো গায়ক’ বলে আখ্যা দেন তাঁকে। সেই সঙ্গে দিলজিতের কাজকর্মেরও কড়া নিন্দা করেন মিকা। তিনি লিখেছিলেন, “বন্ধুরা, যেমনটা আমরা জানি যে, বর্তমানে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্ক ভাল চলছে না। যদিও কিছু মানুষ দায়িত্ব নিয়েই কাজ করছেন। সীমান্তের ও-পারের কোনও শিল্পী রয়েছেন, এমন কন্টেন্ট রিলিজ করার আগে তাঁদের অন্তত ২ বার ভাবনাচিন্তা করা উচিত। আর বিশেষ করে যেখানে আমাদের দেশের সম্মান জড়িয়ে রয়েছে, সেখানে তো বটেই! ফাওয়াদ খান এবং বাণী কাপুরের একটা ছবি ছিল, যেটা নিয়ে আমরা তীব্র বিরোধিতা করেছি। তবুও কেউ কেউ এখনও এই বার্তাটি বুঝতে পারছেন না। আর সবথেকে হতাশাজনক বিষয় হল, একজন ভুয়ো গায়ক ভারতে ১০টি শো করার পর এখন উধাও হয়ে গিয়েছেন। অথচ সেই শোয়ের হাজার হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। ফলে ভক্তদের মনে হচ্ছে যে, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।”
ইতিমধ্যেই অবশ্য এই বিতর্কের মুখে পড়ে BBC Asian Network-এর কাছে নীরবতা ভেঙেছেন দিলজিৎও। তিনি বলেন যে, “যখন এই ছবিটি বানানো হয়েছিল, তখন পরিস্থিতি ভাল ছিল। আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে শ্যুটিং করেছি। আর তখন সব কিছু ভাল ছিল। এরপরে অনেক বড় বড় বিষয় আমাদের হাতে থাকে না। তাই প্রযোজকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ভারতে এই ছবিটি মুক্তি পাবে না। বরং বিদেশে মুক্তি পাবে ছবিটি। তাই প্রযোজকরা প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এবং যখন এই ছবিটি তৈরি হচ্ছিল, তখন এরকম পরিস্থিতি ছিল না।” দিলজিৎ আরও বলেন যে, “বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের হাতে নেই। তাই তাঁরা যদি বিদেশে ছবিটি মুক্তি দিতে চান, তাহলে আমি তাঁদের সমর্থন করব।”