"গত উনিশ বছর ধরে যে বাগানটায় খেলেছি, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়িয়েছি, কখনও আপন ভাবনা ডুবে গিয়েছি, আজ সেই বাগানেই আমার ছোট্ট বিয়ের আয়োজন! বার বার ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই এ দিনটি আমায় উপহার দিয়েছেন তিনি। এটাই আমার পারফেক্ট প্লেস। "
আড়ম্বরহীন। এই শব্দটা কোথায় হারিয়ে গিয়েছে বিবাহ অভিধান থেকে। বাঁশের মাচায় ড্রাই ফ্লাওয়ারের সুচারু কারুকাজ। চতুর্দিকে কোথাও প্লাস্টিকের ছোঁয়া নেই। "বহুদিন ধরে আমি বলার চেষ্টা করে চলেছি, বাঁচতে হলে প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে হবে। যথেচ্ছাচারী হলে হবে না। আমার বিয়েতে তাই যতরকমভাবে পারা যায় বায়োডিগ্রেডেবল বস্তু ব্যবহৃত হয়েছে," জানিয়েছেন দিয়া।
advertisement
অতিথিদের জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা ছিল, সেখানেও এমন কোনও মেটিরিয়াল ব্যবহার করা হয়নি যা পরিবেশের ক্ষতি করে। বলেছেন দিয়া, "আমার প্রিয় বন্ধু অনন্যার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওর বিয়েতে প্রথমে দেখেছিলাম, পুরুষ নয়, মহিলা পুরোহিত নিজহাতে বিবাহ অনুষ্ঠান করছেন। মন্ত্রোচ্চারণ করছেন। অনন্যাই নিয়ে এসেছে শীলা দিদিকে, যিনি আমাদের বিয়ের আয়োজন করলেন নিজের হাতে। আমার সৌভাগ্য। কন্যাদান বা বিদায় নয়, সম্পূর্ণ বৈদিক মতে, যেখানে স্বামী-স্ত্রীর সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই চিরবন্ধনে আবদ্ধ হলাম।"
সোশাল মিডিয়ায় দিয়া ভাগ করে নিয়েছেন দিয়া। ফ্যান নয়, সব অনুরাগীই তাঁর পরিবার। এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি।
আরও একটা কথা। অন্যান্য সেলিব্রিটিদের বিয়েতে মহার্ঘ ডিজাইনার পোশাকের ঢল নামতে দেখি। বিয়েতে দিয়া মির্জা যে পোশাক পরেছেন তা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রঙে রাঙানো, পরিবেশবান্ধব পোশাক। আপাদমস্তক বাহুল্যবর্জিত। যা আজ অবধি কারওর বিয়েতে দেখা যায়নি! এতে শুধু পরিবেশ নয়, সমাজ সচেতনতার বার্তা দিলেন তিনি। নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটালেন যেন!
শর্মিলা মাইতি