প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, অভিনেতা চিরঞ্জীবি, লেখক-গীতিকার জাভেদ আখতার-সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব ভুল করে অনলাইনে শোকবার্তা শেয়ার করার পরপরই অভিনেতার স্বাস্থ্য নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে। পরে সব পোস্টই ডিলিট করে দেওয়া হয়।
advertisement
প্রসঙ্গত ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী এবং প্রবীণ অভিনেত্রী হেমা মালিনীও তাঁর স্বামীর মৃত্যু নিয়ে ভুয়া খবর প্রচারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডলের (পূর্বে ট্যুইটার) পোস্ট উল্লেখ করে তিনি কিছু সংবাদমাধ্যমের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে হেমা লেখেন, ‘যা ঘটছে তা ক্ষমার অযোগ্য! একজন ব্যক্তি যেখানে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেখানে দায়িত্বশীল চ্যানেলগুলি কীভাবে সে সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়াতে পারে? এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। দয়া করে পরিবার এবং তাঁদের গোপনীয়তার প্রয়োজনীয়তার প্রতি যথাযথ সম্মান জানান’। দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে ধর্মেন্দ্রকে গত মাসে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল এবং এখনও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠরা ভক্তদের কাছে অনুরোধ করেছেন প্রবীণ অভিনেতার জন্য প্রার্থনা করতে। ধর্মেন্দ্রর স্বাস্থ্যের আশঙ্কা ঘিরে বলিউডে টানাপড়েন তীব্র হয়। সোমবার রাতে, সলমন খান এবং শাহরুখ খান, আরিয়ান খানের সঙ্গে হাসপাতালে প্রবীণ অভিনেতাকে দেখতে যান। মঙ্গলবার, আমির খানও তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
ছ’ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত কেরিয়ারে ৩০০-রও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে, ধর্মেন্দ্র ভারতীয় চলচ্চিত্রের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন। ‘শোলে’ এবং ‘চুপকে চুপকে’ থেকে শুরু করে ‘সত্যকাম’ এবং ‘ফুল অউর পাত্থর’ পর্যন্ত-তাঁর কাজের বৈচিত্র প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সমৃদ্ধ ও ঋদ্ধ করেছে। পর্দায় তাঁর আকর্ষণীয় উপস্থিতি, অনায়াস রসবোধ এবং আবেগের গভীরতার জন্য পরিচিত ধর্মেন্দ্র একজন অভিনয়শিল্পী এবং ব্যক্তিত্বের উভয় ক্ষেত্রেই প্রশংসিত। রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার আগে তিনি বিকানেরের বিজেপি সাংসদ হিসেবেও (২০০৪-২০০৯) কিছু বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
