ছবির ট্রেলার সামনে আসতেই তা রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এই ছবিতে শাহিদকে এমন এক অবতারে দেখা গিয়েছে, যেভাবে আগে কখনওই তাঁকে দেখেননি ভক্তরা। প্রথম দিকের প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, ‘দেবা’ বক্স অফিস হিট হিসেবে গণ্য হতে চলেছে। ‘দেবা’ ছবির বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, “এটি যেন একটি রোলারকোস্টার রাইড। সেই সঙ্গে রয়েছে তীব্র গভীরতা, স্টাইল এবং খাঁটি আবেগ।” এই ছবির গল্প বলার ধরনও অতুলনীয়। সেই সঙ্গে দোসর হয়েছে শাহিদের আকর্ষণীয় অভিনয়। এখানেই শেষ নয়, পূজা হেগড়ের সঙ্গে শাহিদের রসায়নও বেশ নজর কেড়েছে। স্ক্রিন টাইমের উর্ধ্বে গিয়েও প্রশংসিত হয়েছে এই সমস্ত দৃশ্য।
advertisement
এক বিদ্রোহী পুলিশ অফিসারকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ছবির গল্প। আর সেই ভূমিকায় অভিনয় করেই মুগ্ধ করেছেন শাহিদ কাপুর। এই পুলিশ অফিসারের কাঁধেই দেওয়া হয় হাই-প্রোফাইল সমস্ত কেস সমাধান করার ভার। গভীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক-এক করে যেন এর স্তর খুলতে শুরু করে। এরপরেই সামনে আসে এক বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র। ফলে দর্শকরা পেয়ে গিয়েছেন গভীর অ্যাকশনের দৃশ্য এবং আবেগঘন মুহূর্তও।
এই পুলিশ অফিসারের চরিত্রটিকে নিজের কেরিয়ারের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং চরিত্র হিসেবেই বর্ণনা করেছেন শাহিদ। তিনি বলেন যে, “এটাই আমার করা সবথেকে জটিল চরিত্র। আগেও আমি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র করেছি। কিন্তু ‘দেবা’ আমায় এই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে যে, এটা আমি করতে পারব তো?”
রোশন অ্যান্ড্রুজের পরিচালনায় এই ছবিতে রয়েছে দুর্ধর্ষ মারকাটারি সমস্ত দৃশ্য, ব্যাপক নাটকীয়তা এবং চরিত্রের জটিল মোচড়। সবথেকে বড় কথা হল, ‘দেবা’ ছবিতে নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে শাহিদকে। আর সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে শক্তিশালী অভিনয় প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন তিনি। যাঁরা অ্যাকশন-প্যাকড ড্রামা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এক থ্রিলিং অভিজ্ঞতা প্রদান করতে চলেছে ‘দেবা’।