অনন্তম লিগ্যাল নামের একটি আইনি সংস্থার মাধ্যমে করণ জোহরকে রীতিমতো ‘লেটার অফ কনটেন্ট’ পাঠিয়েছেন সুকেশ। তাতে করণের ধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনতে চেয়েছেন তিনি।
৫০ থেকে ৭০ শতাংশ শেয়ার কেনা মানে, ধর্মা প্রোডাকশনের নিয়ন্ত্রন থাকবে সুকেশের হাতে। এটা স্পষ্ট। লেটার অফ ইনটেন্টে বলা হয়েছে, এই নিয়ে কোনও “আলোচনা হবে না”। সুকেশ বলেছেন, শর্ত মেনে নিলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে।
advertisement
করণ জোহরকে সুকেশ লিখেছেন, “আপনার কোম্পানি ধর্মা প্রোডাকশনের একটা বড় অংশ কেনার ইচ্ছা নিয়ে এই চিঠি।” সুকেশের পিআর টিম সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে চিঠিটি। জানা গিয়েছে, সুকেশের আর্থিক উপদেষ্টারা তাঁকে জানান, ধর্মা প্রোডাকশন বড়সর বিনিয়োগ খুঁজছে। এরপরই সুকেশের কোম্পানি এলএস হোল্ডিং-এর তরফে করণ জোহরকে এই চিঠি পাঠায়।
সুকেশ স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁর এই প্রস্তাব “অস্বাভাবিক” মনে হতে পারে। কিন্তু তিনি মন থেকেই এই চুক্তি করতে চান। তিনি লিখেছেন, “আমার কাছে সিনেমা শুধু ব্যবসা নয়, প্যাশন আর আবেগের নাম। কারণ আমি সিনেমাপ্রেমী। আমি নিশ্চিত এই অফার আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে, এশিয়ার বৃহত্তম জেলের ভিতর থেকে এমন অফার আবার কেউ দেয় না কি! কিন্তু স্থান, কাল, পাত্র ভেদে সেরা এবং বিস্ময়কর জিনিসও ঘটে।”
আরও পড়ুন: বলুন তো বাথরুম এবং ওয়াশরুমের মধ্যে পার্থক্য কী? এক নয় কিন্ত মোটেই…৯৯%ই ভুল উত্তর দিয়েছেন
করণ জোহরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন সুকেশ। তাঁকে “দূর্দান্ত মানুষ” আখ্যা দিয়েছেন তিনি। আর জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে বলেছেন “তাঁর জীবনের ভালবাসা।” করণ জোহরকে তিনি এবং জ্যাকলিন যে কতটা শ্রদ্ধা করেন, তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুকেশ।
তিনি লিখেছেন, “আমি এবং আমার পরিবার ধর্মা প্রোডাকশনের বড় ভক্ত। এর প্রধান কারণ করণ জোহর, আপনি একজন দূর্দান্ত মানুষ। আমার জীবনের ভালবাসা জ্যাকলিনও আপনাকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন, সেটা আপনিও খুব ভাল করেই জানেন। তাই আপনার কোম্পানির স্টেক/ইনফিউজ ফান্ড কেনা এবং আপনার পরিবারের একজন হওয়া আমার কাছে বিশেষ সম্মানের বিষয়।”
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে করণ জোহরের বাবা যশ জোহরের হাতে তৈরি হয়েছিল ধর্মা প্রোডাকশন। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘কাল হো না হো’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘রাজি’, ‘শেরশাহ’, ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’-এর আইকনিক ছবির প্রযোজনা করেছে করণ জোহরের সংস্থা।