সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাজিদ জানান, তিনি আর সাজিদ খান হিসেবে পরিচিত হতে চান না, এবার থেকে তার নাম হবে সাজিদ-ওয়াজিদ। যতদিন তিনি বাঁচবেন, এই নামই ব্যবহার করবেন। সঙ্গে তিনি এও জানান, যে শারীরিকভাবে ওয়াজিদ না থাকলেও তিনি তার সঙ্গে সবসময় রয়েছেন। প্রতি মুহুর্তে তিনি ভাই ওয়াজিদের অভাব বোধ করেন। তার কথায়, ওয়াজিদ তার সঙ্গে না থাকলে তিনি কোনওভাবেই গান তৈরি করতে পারতেন না। আর সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত। ভাইয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক সারা দুনিয়ার কাছেই পরিচিত। শোনা যায়, দুজনের যেমন ভাল সম্পর্ক ছিল, তেমন একে অপরকে ছেড়ে থাকতেও পারতেন না।
advertisement
করোনার সময় যখন সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কড়াকড়ি ছিল, ঠিক সেই সময়ই পিপিই কিট পরে ওয়াজিদের সঙ্গে আইসিইউ-তে দেখা করতে গিয়েছিলেন সাজিদ। সেসময় একপ্রকার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের অমতেই ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। আইসিইউ-তে থাকাকালীন ওয়াজিদের শরীর বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই শেষ বার দেখা করতেই হত তাকে। মন খারাপের মাঝেও একা ছাড়েননি ভাইকে। এখনও ওয়াজিদকে ছেড়ে থাকতে চান না সাজিদ। তার কথায়, শারীরিকভাবে ছেড়ে চলে গেলেও, স্মৃতিতে এখনও উজ্জ্বল ওয়াজিদ খান। সাজিদ-ওয়াজিদের কাজের মাঝেই খুঁজে পাওয়া যাবে দুজনকে।
এত কম বয়সে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা সঙ্গীত পরিচালককে হারানোর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে গোটা বলিউড ৷ কিন্তু যন্ত্রণার বিষয়ে এটাই যে ওয়াজিদের শেষযাত্রাতেও কেউ সামিল হতে পারেননি তাঁর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা ৷ মুম্বইয়ের ভারসোভার কবরস্থানেই সোমবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ওয়াজিদের ৷