সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বনি কাপুর বলেন, তাঁর বাবা সুরিন্দর কাপুরকে এক সময় কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এমনকী ওই সময় তাঁকে পরপর প্রায় ১০টি চাকরি খোয়াতে হয়েছিল। কারণ তিনি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। আর একের পর এক চাকরি খুইয়ে সপরিবার মুম্বইয়ে আসতে বাধ্য হন সুরিন্দর কাপুর।
বনির কথায়, “আমার বাবাকে বম্বে (তৎকালীন)-তে এনেছিলেন পৃথ্বীরাজ কাপুর। আসলে আমার ঠাকুর্দাই আমার বাবাকে পৃথ্বীরাজজির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কারণ আমার বাবাকে অন্তত ১০-১২টি চাকরি ছাড়তে হয়েছিল। আসলে ছাড়েননি, বরং তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ আমার বাবা শ্রমিকদের পাশে ছিলেন। তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন।”
advertisement
এরপর নিজের কথা বলতে গিয়ে জনপ্রিয় প্রযোজক বলেন, “যখন আমার ঠাকুরমা মারা যান, তখন অনিল এবং আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অনিল ঠিক করে ও অভিনয় করবে আর আমি প্রোডাকশন সামলাব। বাড়ির দিকটাও তো কাউকে সামলাতে হত। আসলে আমার বাবার হার্টের সমস্যা ছিল, তাই তাঁকে চাপ দিতেই চাইনি।”
এখানেই শেষ নয়, বনি আরও বলেন যে, তাঁর বাবা বিয়ের পর রাজ কাপুরদের আউটহাউজে থাকতেন। প্রসঙ্গত এই আউটহাউজগুলিতে আদতে বাড়ির চাকর অথবা গাড়ির চালকদের মতো কর্মচারীরা বসবাস করেন।এরপর নিজের কেরিয়ারের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা মনে করে বনি জানান, তাঁর বাবার প্রযোজিত ছবির এক পরিচালক মারা যান। সেই সময় থেকে তাঁদের কঠিন সময় শুরু হয়ে যায়। আর্থিক বাধাবিপত্তি তো ছিলই, এর পাশাপাশি তাঁদের মাথায় ঋণের বোঝাও চাপে।
যদিও এই সমস্ত প্রতিকূলতা এবং চ্যালেঞ্জ পার করে বনি কাপুর আজ সফল কেরিয়ারের স্বাদ আস্বাদন করছেন। বলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আজ প্রতিষ্ঠিত সফল প্রযোজক তিনি। তাঁর সাম্প্রতিক কাজ ‘ময়দান’ বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এই ছবি ৩১.৮৬ কোটি টাকা আয় করেছে।