জল বয়ে গিয়েছে অনেকটা, সময়ও। রাজেশের দ্যুতি ম্লান হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগে। বিক্রি হয়ে গিয়েছে তাঁর অনেক সাধের বাংলো আশীর্বাদ। জীবনে অনেক ঠেকে পরিণত হয়েছেন ডিম্পলও। তাই একসময় সাংবাদিক খালেদ মহম্মদকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, রাজেশকে নিয়ে কোনও বেফাঁস বা কুশ্রী মন্তব্য তিনি কখনওই করতে চান না। মাত্র ১৫ বছর বয়সে রাজেশের ঘরণী হয়েছিলেন ডিম্পল। কিছু বছর পরে অবশ্য তিনি রাজেশের থেকে আলাদা থাকতেন। তবে কোনও দিনই আইনি বিচ্ছেদ হয়নি তাঁদের।
advertisement
রাজেশকে দোষারোপ করার পরিবর্তে এক প্রকার সব দোষ নিজের ঘাড়েই নিয়েছিলেন ডিম্পল। বলেছিলেন যে কাকা (রাজেশের ডাকনাম) একজন ভাল মানুষ। "ওকে সবাই ভুল বোঝে। আমি যে বয়সে বিয়ে করেছিলাম সেই বয়সে বিয়ে বা সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা সম্ভব নয়।" ডিম্পল এও বলেন যে, তিনি রাজেশের থেকে আলাদা থাকলেও তাঁকে আজও সমান ভালবাসেন ও সম্মান করেন। রাজেশের আকাশছোঁয়া খ্যাতি ও সুপারস্টারডম একটা বিশেষ অনুভব সেটা বলেন তিনি।
ডিম্পল যে নেহাত কথার কথা বলেননি তার প্রমাণ আছে। আলাদা থাকার পরেও প্রয়োজনে স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পিছ-পা হননি তিনি। ৯০ এর দশকে রাজনীতির ময়দানে নামেন রাজেশ। তাঁর হয়ে প্রচারে থাকেন ডিম্পলও।
বলিউডে রাজেশ খান্নাকে সম্মান জানানো হয় প্রথম সুপারস্টার হিসেবে। ডিম্পলের সেই ক্যারিশ্মা না থাকলেও বাণিজ্যিক এবং আর্ট ফিল্ম দুই ধারার ছবিতেই তাঁর কাজ প্রশংসা পায়। বেশ কিছুদিন অন্তরালে থাকার পর আবার কাজ শুরু করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
