প্রাক্তন কিংবদন্তী ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের (Viv Richards) সঙ্গে প্রেম চলাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা (Neena Gupta) । কিন্তু ভিভের তখনও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি । স্ত্রী ও পরিবারকে ছেড়ে আসতে রাজি হননি ভিভ । বিয়ে করতে পারেননি নীনাকে । কিন্তু তারপরেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছিলেন সদ্য যৌবনে পা রাখা নীনা । নিজের মনের জোরেই মা হলেন তিনি । জন্ম দিলেন কন্যা মাসাবার (Masaba Gupta)। সিঙ্গল মাদার শব্দটি তখনও এ দেশের কাছে বেশ অপরিচিত । তার উপর আবার ‘অবৈধ’ তকমা । কিন্তু এ সবকিছুকে গায়ে মাখলেন না নীনা । একা মায়ের লড়াইয়েই বড় করে তুললেন মাসাবা গুপ্তকে । এখন তিনি একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার ।
advertisement
আত্মজীবনী’তে জীবনের নানা অজানা কথাই সামনে এনেছেন নীনা । তাঁর সেই বই থেকেই জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন অবস্থায় নীনার সহকর্মী, অভিনেতা সতীশ কৌশিক তাঁকে বিয়ের অফার দিয়েছিলেন । অভিনেত্রীর কাছের বন্ধু ছিলেন সতীশ। সেই সময় নীনার পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছিলেন অভিনেতা।
১৯৮৯ সালে জন্ম হয় মাসাবার । সে সময় ভিভ রিচার্ড মাসাবার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন । এই পরিস্থিতিতে সতীশ এগিয়ে আসেন । নীনা’কে তিনি বলেছিলেন বিয়ে করে নিতে । মাসাবাকে পিতৃপরিচয় দিতে প্রস্তুত তিনি । সতীশ বলেন, ‘‘সন্তান কালো হলে বলে দিও আমার, কেউ সন্দেহ করবে না ।’’ এই প্রস্তাব শুনে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন নীনা । কিন্তু অসম্ভব স্বাধীনচেতা ও ব্যক্তিত্বময়ী নীনা ছলনার এই সম্পর্ক গড়তে রাজি হননি । তবে প্রিয় বন্ধু, তথা সহকর্মীর এমন স্নেহপূর্ণ ব্যবহারে বিগলিত হয়ে গিয়েছিলেন নীনা । চোখের জল আটকাতে পারেননি তিনি ।
নীনা গুপ্ত’র আত্মজীবনী প্রকাশিত হওয়ার পর এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেতা সতীশ কৌশিকও । তিনি বলেন, ‘‘আমি নীনা’কে বলেছিলাম, ম্যায় হুঁ না । তু চিন্তা কিঁউ করতি হ্যায় । একজন খুব ভাল বন্ধু হিসাবে,ওই মুহূর্তে আমি শুধু নীনার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম । সে জন্যই ওঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিই । কখনও ওঁকে একা অনুভব করতে দিইনি । ওই দিন থেকে আমাদের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়ে গেল ।’’
নিজের জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন নীনা গুপ্তা। সেই সমস্ত কথাই নিজের আত্মজীবনীতে শেয়ার করেছেন তিনি। কাজের দিক থেকে মান্ডি, উৎসব, ত্রিকাল, বাধাই হো, সর্দার কা গ্র্যান্ডসন, সন্দীপ অওর পিঙ্কি ফরার-এর মতো একাধিক হিট ছবিতে কাজ করে চলেছেন অভিনেত্রী।