এ দিন রিয়া NCB-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরেই তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানেই 'জালেবি'র নায়িকার গ্রেফতারি শুধুই যে সময়ের অপেক্ষা, তাতে তিনি একপ্রকার শিলমোহর দিয়েছেন। ANI-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সতীশ মানেশিন্ডে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "রিয়া চক্রবর্তী গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত। যদি কাউকে ভালবাসা অপরাধ হয়, তাহলে সেই অপরাধের খেসারত তাঁকে দিতে হবে। রিয়া নিরপরাধ, তাই ED, CBI, NCB-র মতো তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা একযোগে তদন্ত করলে, এখনও পর্যন্ত কোনও আদালতের দ্বারস্থ হয়নি। এমনকি কোনও আগাম জামিনের আবেদন জানায়নি।"
advertisement
সূত্রের খবর, রবিবার সকালে রিয়া চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য মিলেছে। যার ওপর ভর করেই রিয়া চক্রবর্তী হতে পারেন আটক! এমনকি তাঁকে গ্রেফতারির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। NCB সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন শৌভিক এবং স্যামুয়েলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে রিয়াকে। দীপেশকে হেফাজতে পাওয়ার পড়ে তাকেও সকলের সঙ্গে বসিয়ে জেরা করবেন গোয়েন্দারা।
এ দিকে, মাদক-যোগে শনিবার সন্ধ্যায় সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেফতার করে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার রাতে NCB দফতরে আনা হয় দীপেশকে। এরপর শনিবার সকাল থেকে শৌভিক-স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং দীপেশকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হয়। সেখানে একাধিক অসঙ্গতি মেলায় সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই দীপেশকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাদক-কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়ার একমাত্র ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা-সহ পাঁচজনকে। শৌভিককে জেরার সময় সে স্বীকার করে নেয় তার অপরাধের কথা। পাশাপাশি জানিয়েছে, দিদি রিয়া চক্রবর্তীর কথাতেই সে এ সব কাজ করত। শনিবার শৌভিক এবং স্যামুয়েল-সহ বাকিদের আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্যামুয়েল মিরান্ডা ও শৌভিক চক্রবর্তীকে এনসিবি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।