নীনার শেষের কথায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে তা হলে কি নীনা একসময় শুধুই পয়সার জন্য কাজ করেছেন? পুরোটা না হলেও কিছুটা অন্তত তাই। সে রকম কিছু কথাই উঠে এল নীনার সঙ্গে আলাপচারিতায়। অভিনেত্রী জানালেন যে, মাসাবা যখন ছোট ছিলেন, তখন তাঁকে বড় করার জন্য এবং সংসার চালানোর জন্য দিনরাত এক করে কাজ করতেন তিনি। তার মধ্যে সব কাজ যে তাঁর খুব পছন্দের ছিল তা নয়। অপছন্দের হলেও পয়সার জন্য এবং মেয়ের মুখ চেয়ে সেটুকু করতে বাধ্য ছিলেন তিনি। মাসাবা যখন বড় হয়ে নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলেন, তখন কিছুটা হলেও নীনার দায়িত্বের বোঝা কমে যায়। তবে নীনা জানালেন যে, এখন আর দায়বদ্ধতা নেই বলেই আজেবাজে কাজ করার চাপও নেই। মাসাবা তাঁকে নিরন্তর প্রেরণা জোগান ভাল কাজ করার জন্য সেটাও বললেন।
একসময় মা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনে কোনও ত্রুটি রাখেননি নীনা। মায়ের যত্ন রাখায় ফাঁক রাখেন না মাসাবাও। নীনা শ্যুটিংয়ে গেলেই চিন্তা বাড়ে মাসাবার। বার বার ফোন করে মা হাত ধুয়েছেন কি না বা মাস্ক পরতে ভুলে গিয়েছেন কি না সেটা খোঁজ নেন ডিজাইনার মেয়ে। সময়ের হাত ধরে তাঁরা এখন মা, মেয়ে কম আর দুই অন্তরঙ্গ সখী বেশি হয়ে উঠেছেন।
Netflix-এর নতুন ছবি সর্দার কা গ্র্যান্ডসন ছবিতে অর্জুন কাপুরের (Arjun Kapoor) ঠাকুমার ভূমিকায় দেখা যাবে নিনাকে। দীর্ঘ দিন পরে তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন অভিনেতা কানওয়ালজিত সিং (Kanwaljit Singh)।
