ED তদন্তের সময় রিয়ার যে ড্রাগ চ্যাটের অস্তিত্ব পেয়েছিল, সেই সূত্র ধরেই বান্দ্রা থেকে প্রথম গ্রেফতার করা হয় আব্দুল বসিত পরিহারকে। সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখত বসিত। ANI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে NCB জানতে পেরেছে মিরান্ডার সঙ্গে ড্রাগ সম্পর্কিত বিষয়ে যোগাযোগ রাখত রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দারা মঙ্গলবার বসিতকে কেরা করে জাহিদ ভিলাত্রার খোঁজ পায়। জাহিদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়া থেকেও ফৈয়াজ আহমেদ নামে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
advertisement
ধৃত জাহিদের দাবি, তার সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর যোগাযোগ রয়েছে। অর্থাৎ, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে রিয়ার ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর একাধিকবার যোগাযোগ হয়। 'ডুবিস', 'বুম'-সহ একাধিক 'কোড ল্যাঙ্গুয়েজের' মাধ্যমে শৌভিকের সঙ্গে তার মাদকের লেনদেন চলত বলে দাবি করেছে জাহিদ। গোয়েন্দাদের অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে বলিউডের বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটির যোগ থাকতে পারে। ফলে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, রিয়ার সঙ্গে মাদক নিয়ে কথপোকথনের জেরে এবার জাতীয় স্তরের এক বিলিয়ার্ড এবং স্নুকার খেলোয়াড়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঋষভ ঠক্করের সঙ্গে রিয়ার পরিচয় হয়। তারপর থেকে দু'জনের মাদক নিয়ে কথা হয়। সেই সূত্র ধরেই এবার ঋষভকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
এদিকে বুধবার ফের রিয়া চক্রবর্তীর বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। মঙ্গলবার প্রায় টানা ৯ ঘণ্টা ধরে অভিনেত্রীর বাবা, মা এবং ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। বুধবার বজায় থাকবে সেই একই ধারা। তবে বুধবার রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এ দিকে, ED-র গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আর্য এবং কুণাল জানিকে।