পারার কথাও নয়! কেন না, বরুণের বিয়েতে গোবিন্দা আসতে পারেন, এরকম কোনও জল্পনা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েনি, তেমনই ধাওয়ান-পরিবার থেকেও এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। এবারেও অবশ্য ধাওয়ান পরিবার থেকে বিষয়টা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। বলা যায়, মন খুলেছেন গোবিন্দা স্বয়ং! নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে তিনি আশীর্বাদ জানিয়েছেন নববিবাহিত নাতাশা আর বরুণকে।
advertisement
গোবিন্দার Instgram Story একটি ঘন নীল রঙের সোনালি হরফে সাজানো কার্ডের ছবি তুলে ধরেছে। যা তাঁকে পাঠানো হয়েছে ধাওয়ান পরিবারের পক্ষ থেকে। লালি ধাওয়ান (Lali Dhawan) এবং ডেভিড ধাওয়ানের (David Dhawan) নামাঙ্কিত সেই কার্ডে লেখা রয়েছে- ২৪ জানুয়ারি নাতাশা এবং বরুণের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে গোবিন্দার অনুপস্থিতি সবাই লক্ষ্য করেছেন। দয়া করে গোবিন্দা যেন নবদম্পতিকে নিজের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত না করেন! পাশাপাশি, গোবিন্দা আশীর্বাদ দেবেনই, এটা ধরে নিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন লালি আর ডেভিড।
এক্ষেত্রে ভদ্রলোক মাত্রই যা করতে পারেন, গোবিন্দাও সেটাই করেছেন। ওই কার্ডের ছবি তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে আপলোড করে নাতাশা আর বরণকে ট্যাগ করে তাঁদের আশীর্বাদ জানিয়েছেন! তাহলে কি গোবিন্দা এবং ডেভিডের মনোমালিন্য মিটেছে বলতে হবে?
আসলে সেই ২০০৭ সাল থেকে এই নায়ক আর প্রযোজক-পরিচালকের মধ্যে মনোমালিন্য চলছে। ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দা বলেছিলেন যে ডেভিড হালফিলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। তিনি ওঁর সঙ্গে ১৭টা ছবি করেছেন, যা ছেলে বরুণও করবেন কি না সন্দেহ! অথচ দুর্দিনে গোবিন্দার পাশে থেকে তাঁর জন্য কোনও ছবি বানাননি ডেভিড, বরং পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ছোটখাটো চরিত্রে কাজ করে সংসার চালান নায়ক!
এবার কি তাহলে ১৮ নম্বর ছবিটা তৈরি হতে চলেছে? না কি স্রেফ বলিউডের নিন্দা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই গোবিন্দাকে ছেলের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ডেভিড? দেখা যাক!