বরাবরই ছটপটে স্বভাবের কাজল। মা তনুজা (Tanuja) থেকে স্বামী অজয়- তাঁর সম্পর্কে এই মন্তব্য প্রায়ই করে থাকেন। বন্ধুমহলেও তাঁর পরিচিতি এভাবেই, করণ জোহর (Karan Johar) থেকে শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan), সকলেই তাঁকে এই স্বভাবেই চেনেন। শুধু ছটফটেই নন, সব সময়েই কথার খইও ছোটে কাজলের মুখে!
এক্সট্রোভার্ট এই অভিনেত্রীই প্রেমে পড়েন একদম শান্ত, চুপচাপ স্বভাবের অজয়ের। কী ভাবে এত আলাদা দু'টো মানুষের প্রেম হল, বিয়ের বয়সও হল ২২ বছর, তা এখনও জানেন না বলেই দাবি করছেন অজয়। তবে, বিপরীত মেরু আকর্ষণ বেশি করে বলেই হ য়তো এতগুলো বছর সুখে কাটাচ্ছেন এই দম্পতি, এমনটাই ধারণা তাঁর।
advertisement
২০১৯ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অজয় বলেন, "আমরা যখন বিয়ে করি, তখন আমার পরিবার খুবই খুশি হয়েছিল। কারণ অবশেষে কথা বলে এমন কেউ আমার পরিবারে এসেছিল। সত্যি বলতে কী, সম্পর্কে দু'জনের মধ্যে একজনকে অন্তত কথা বলতে হয়। যদি আমরা দু'জনেই চুপ থাকি তা হলে বুঝতে হবে সেটা সমস্যার। তাই কাজল প্রচুর কথা বলে আর আমি চুপ করে থাকি।"
অভিনেতা আরও বলেন, "আমরা একদম বিপরীত দু'টো মানুষ। কিন্তু একে অপরের জন্য পারফেক্ট। আমি তাই সকলকে বলব সঙ্গী যেমন, তাঁকে তেমনই থাকতে দেওয়া উচিত, কাউকেই পাল্টে ফেলা উচিত নয়। আমি জানি না কাজলের চরিত্রের ঠিক কোন দিক আমাকে আকর্ষণ করেছে। আসলে আমরা দু'জনেই জানি না কী ভাবে এটা হল, এটা কী ছিল। আমরা কথা বলা শুরু করি, বন্ধুত্ব জমে গিয়েছিল বলে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। আমরা কেউ কাউকে কখনও প্রোপোজও করিনি। সবটাই স্বাভাবিক ছন্দে হয়ে যায়।"
এই সাক্ষাৎকারের আগে পায়োনিয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অজয় জানিয়েছিলেন, "হালচাল সিনেমা শুরুর আগেও একবার আমার সঙ্গে কাজলের দেখা হয় একটি সিনেমার সেটে। প্রথমবার দেখে মনে হয়েছিল কী চিৎকার করে, অ্যারোগেন্ট, ভীষণ কথা বলে। প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা সেভাবে ভালো ছিল না। পরে সম্পর্ক অন্য দিকে মোড় নেয়। আসলে জীবনে যা হওয়ার সেটা হবেই"!