সলমন, হরভজন এবং যুবরাজ বেশ মজা করেই বাক্যালাপ সারছিলেন। তিন তারকার প্রতিটা কথাই উপভোগ করছিলেন দর্শকরাও। তারই মাঝে উঠে এসেছিল ইন্ডাস্ট্রির বহুল চর্চিত বিতর্কের পর্বটিও। আসলে সলমন খান নিজের ছবির কিছু মজাদার গল্প ভাগ করে নিচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি হালকা মেজাজেই বলেন, “শ্যুটিংয়ের সময় আমি দৌড়চ্ছিলাম। তেমনই শট ছিল।” এদিকে হরভজন সিংও কম যান না। তিনিও মজাচ্ছলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করে বসেন, “কার পিছনে? বিবেক ওবেরয়?” ক্রিকেট তারকার এহেন প্রশ্ন শুনে রীতিমতো হাসিতে ফেটে পড়েন দর্শকাসনে থাকা সকলেই। তবে এর জবাবে সলমন যা বললেন, তা পুরোপুরি ভাবে প্রচারের আলো যেন ছিনিয়ে নিয়েছিল।
advertisement
মুখে দুষ্টু হাসি মেখে বলিউডের ভাইজান বলেন, “বিবেক ওবেরয়! ছেড়ে দিন ওঁকে। ওঁকে নিজের জীবনটা শান্তিতে বাঁচতে দিন নাহলে খামোখা ওঁর জীবনটা ছোট হয়ে যাবে।” অভিনেতার এহেন মন্তব্যে ফের হাসির রোল ওঠে দর্শকদের মধ্যে।
আসলে ২০০০-এর প্রথম দিকে সলমন খান এবং বিবেক ওবেরয়ের বিবাদের কথা জনসমক্ষে চলে এসেছিল। মূলত এর কারণ ছিল অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে সলমনের টালমাটাল প্রেমের সম্পর্ক। এদিকে সলমনের সঙ্গে প্রেম ভাঙার পর বিবেকের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেছিলেন সুন্দরী অভিনেত্রী। ফলে রেগে গিয়েছিলেন সলমন। আর বিবেকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে বিবেক জনসমক্ষে সলমনের বিরুদ্ধে এ-ও অভিযোগ করেন যে, গভীর রাতে অভিনেতা হুমকি দিয়ে ফোন করতেন তাঁকে। এই ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। রীতিমতো ঝড় উঠেছিল সংবাদমাধ্যমেও।
আর এই ঘটনাটি ঘটেছিল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে। আর বিবেকই এই অভিযোগগুলি সকলের সামনে আনার জন্য সেই সম্মেলনটি ডেকেছিলেন। এদিকে সলমনের কেরিয়ারে আসে প্রচুর উন্নতি। কিন্তু এই ঝগড়ার জেরে গভীর প্রভাব পড়ে বিবেকের কেরিয়ারে। বলিউডের বহু প্রযোজকই এই বিতর্কের জেরে বিবেকের থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন। যার ফলস্বরূপ, তাঁর কেরিয়ারে একপ্রকার ভরাডুবি হয়। আর অনেকে এই ভরাডুবির জন্য দায়ী করেন সলমনের সঙ্গে অভিনেতার বিবাদকেই।